রাষ্ট্রপতির ছবি‌ সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মৌখিকভাবে

3 hours ago 7

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশ মৌখিকভাবে দেওয়া হয়েছিল। কয়েকটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে বিবিসি বাংলা এ তথ্য জানিয়েছে। 

সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিস থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশনা মৌখিকভাবে দেওয়া হয়। এরপরই কয়েকটি দেশের বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

রোববার (১৭ আগস্ট) শ্রীলঙ্কার কলম্বো দূতাবাসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাদের দূতাবাসে ৫ অগাস্টের পরই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলেন। শনিবার আবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে মৌখিকভাবে নির্দেশনা এসেছে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে ফেলার। কিন্তু আমাদের এখানে আগে থেকেই ছবি ছিল না। যে কারণে কলম্বো দূতাবাস থেকে নতুন করে ছবি সরাতে হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ‘হেডকোয়ার্টার (ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) শুধু বলেছে তোমাদের দূতাবাসসহ অন্য যদি কোনো দূতাবাসে রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে সেটি সরিয়ে ফেলো।’ 

ইরানের বাংলাদেশি দূতাবাস কার্যালয়ে ৫ অগাস্টের পর শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার দুটি ছবি বাঁধাই করে রাষ্ট্রদূতের অফিস কক্ষে টানানো হয়েছিল।

সেখানকার একজন কর্মকর্তা নাম গোপন রেখে বলেন, সরকারের এই নির্দেশনার পরই রাষ্ট্রপতির ছবিসহ দুইটা ছবিই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমি আজকে অফিসে এসে দেখি সেখান থেকে দুইটি ছবিই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আজকে সেখানে কোন ছবি নাই। 


লন্ডনে বাংলাদেশি হাই কমিশনে  হাইকমিশনারের রুমে শুধু রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি ছিল। শুক্রবার রাতেই ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ফোন করে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হলে ওই রাতেই ছবি সরিয়ে ফেলা হয়।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার রোববার (১৭ আগস্ট) রাতে ফেসবুকের নিজের প্রোফাইলে একটি পোস্ট করেন। তিনি লিখেন, ‘সরকারি দপ্তরে পোট্রেট ব্যবহার শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার নিরুৎসাহিত করছে। অলিখিতভাবে জিরো পোট্রেট নীতি বজায় রেখেছে। তারপরও কেউ কেউ সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধানের ছবি নিজ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করেছে। সেগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে এমন কোনো লিখিত নির্দেশনা কোনো দপ্তর কিংবা মিশনকে দেওয়া হয়নি। তারপরও দেখা যাচ্ছে আজ এটা নিয়ে বাজার গরম করে ফেলা হয়েছে। নির্বাচনের সময় ঘোষণা করার পর রাজনীতি নিয়ে ঘোঁট পাকানোর সুযোগ কমে আসছে। কাটতি ধরে রাখার জন্য ছোট খাটো অনেক বিষয়কেও এখন তাই পাহাড়সম করে তোলা হচ্ছে।’

Read Entire Article