রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্রের শেষ বিদায়
রংপুরের তারাগঞ্জে নিজ বাড়িতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায়কে রাষ্ট্রীয় সম্মানে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে। এ সময় স্বজন ও এলাকাবাসীর কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে তার দান করা চাকলা শ্মশানে গার্ড অব অনার দেওয়া করা হয়। এদিকে যোগেশ চন্দ্র ও তার স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় রোববার রাতে তাদের বড় ছেলের শোভেন চন্দ্র রায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে তারাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। গত শনিবার রাতের নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের পর রোববার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় যোগেশ চন্দ্র রায় ও তার স্ত্রী সুর্বণা রায়ের লাশ বাড়িতে পৌঁছায়। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টায় যোগেশ চন্দ্রের দান করা চাকলা শ্মশানেই রাষ্ট্রীয় সম্মান জানিয়ে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার শেষে দাহক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। শনিবার রাতে তারাগঞ্জ উপজেলার রহিমাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে খুন হন মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তার স্ত্রী সুর্বণা রায়। রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে ড
রংপুরের তারাগঞ্জে নিজ বাড়িতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায়কে রাষ্ট্রীয় সম্মানে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে। এ সময় স্বজন ও এলাকাবাসীর কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে তার দান করা চাকলা শ্মশানে গার্ড অব অনার দেওয়া করা হয়।
এদিকে যোগেশ চন্দ্র ও তার স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় রোববার রাতে তাদের বড় ছেলের শোভেন চন্দ্র রায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে তারাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
গত শনিবার রাতের নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের পর রোববার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় যোগেশ চন্দ্র রায় ও তার স্ত্রী সুর্বণা রায়ের লাশ বাড়িতে পৌঁছায়। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টায় যোগেশ চন্দ্রের দান করা চাকলা শ্মশানেই রাষ্ট্রীয় সম্মান জানিয়ে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার শেষে দাহক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
শনিবার রাতে তারাগঞ্জ উপজেলার রহিমাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে খুন হন মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তার স্ত্রী সুর্বণা রায়। রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে ডাইনিং রুমে যোগেশ রায়ের এবং রান্নাঘরে সুর্বণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া চলাকালে বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বয়স্ক বাবা-মায়ের কী অপরাধ ছিল যে তাদের এমন নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করতে হবে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়।
বড় পুত্রবধূ কল্যাণী রানী বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। জ্ঞান ফিরলেই বিলাপ করে বলছিলেন, কী দোষে তাদের হত্যা করল? তারা আর কয়দিন বাঁচতেন? খুনিদের বিচার চাই।
খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে আলটিমেটাম : এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন তারাগঞ্জ উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন। তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে এরকম বর্বর হত্যা মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের নিজেদের জীবনও এখন অনিরাপদ মনে হচ্ছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার না করলে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন কালবেলাকে জানান, মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তার স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় তাদের বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
What's Your Reaction?