বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের (বিএনএসিডব্লিউসি) ২৩তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনএসিডব্লিউসির চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাল্টিপারপাস হলে এ সভা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআর জানায়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং বাহিনী থেকে বিএনএসিডব্লিউসির সদস্যসহ ৪৩ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সভায় অংশ নেন। সভায় বাংলাদেশে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন সংক্রান্ত বিধিবিধান কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২২তম সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় বাংলাদেশের সার্বিক রাসায়নিক নিরাপত্তা সুসংহতকরণ ও রাসায়নিক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এছাড়া দেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য সংক্রান্ত কার্যক্রম যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সংশিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিএনএসিডব্লিউসির সঙ্গে নিবন্ধনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এছাড়া তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্যসহ অন্যান্য সংবেদনশীল রাসায়নিক দ্রব্যের পরিবহনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সভায় গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘমেয়াদে মজুত করা রাসায়নিক দ্রব্যের ধ্বংসকরণসহ দেশের সব বন্দরে রাসায়নিক দ্রব্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সুসংহত করার ব্যাপারে বিএনএসিডব্লিউসির চেয়ারম্যান বিশেষ দিকনির্দেশনা দেন।
এছাড়া রাসায়নিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় হতাহতদের চিকিৎসার জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলো প্রস্তুতকরণ এবং চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে কেমিক্যাল ওয়ারফেয়ার এজেন্ট সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাহিনীগুলোর গঠিত কেমিক্যাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিমের (সিডিআরটি) সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ চলমান রয়েছে। বিএনএসিডব্লিউসির চেয়ারম্যান বাংলাদেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্যসহ দেশের সার্বিক রাসায়নিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
টিটি/এমকেআর/এমএস