৩০০ তাড়া করতে নেমে ২১০ রানে নেই শ্রীলঙ্কার ৭ উইকেট। স্বীকৃত ব্যাটার বলতে কেবল ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তিনিই লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে দুর্দান্ত লড়াই করলেন। একপর্যায়ে সমীকরণ দাঁড়ালো, জয়ের জন্য ২ ওভারে দরকার ২৩ রান। খুবই সম্ভব।
তবে ৪৯তম ওভারে নাসিম শাহ মাত্র ২ রান খরচ করে তুলে নিলেন হাসারাঙ্গাকে। তাতেই সব আশা-ভরসা শেষ শ্রীলঙ্কার। রাওয়ালপিন্ডিতে রুদ্ধশ্বাস সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তান জিতেছে ৬ রানে।
প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৯৯ রান তুলেছিল পাকিস্তান। জবাবে ৯ উইকেটে ২৯৩ রানে থেমেছে শ্রীলঙ্কা।
রান তাড়ায় উড়ন্ত সূচনাই করেছিল শ্রীলঙ্কা। কামিল মিশরা আর পাথুম নিশাঙ্কা ৭০ বলের ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৮৫ রান। ১২তম ওভারে জুটি ভাঙার সঙ্গে জোড়া শিকার করেন হারিস রউফ। মিশরা ৩৮ করে আউট হন। কুশল মেন্ডিসকে গোল্ডেন ডাকে বোল্ড করেন রউফ।
নিজের পরের ওভারে আরেক সেট ব্যাটার নিশাঙ্কাকে (২৯) উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানান রউফ। ৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। সাদিরা সামারাবিক্রমা আর চারিথ আসালাঙ্কা এবার দলের হাল ধরেন।
সেই রউফই ভাঙেন প্রতিরোধ। সামারাবিক্রমা ফেরেন ৩৯ করে। ৩২ করে মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে স্টাম্পিং হন আসালাঙ্কা। নাসিম শাহর বলে বোল্ড হন জানিথ লিয়ানাগে (২৮)। কামিন্দু মেন্ডিসকে (৯) বোল্ড করেন ফাহিম আশরাফ।
২১০ রানে ৭ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। কিন্তু হাল ছাড়েনি। লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। শেষ পর্যন্ত আর পারেননি। নাসিম শাহর বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লঙ্কান অলরাউন্ডার। ৫২ বলে ৫৯ রানে থামে তার ইনিংস।
হুসাইন তালাতের ঘটনাবহুল শেষ ওভারে ২১ রান দরকার ছিল। দুটি ওয়াইড দেন তিনি। মাহিশ থিকসানা তৃতীয় আর চতুর্থ বলে বাউন্ডারিও হাঁকান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
পাকিস্তানের হারিস রউফ ৪টি, নাসিম শাহ আর ফাহিম আশরাফ নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। সাইম আইয়ুব ফেরেন মাত্র ৬ রান করে। আরেক ওপেনার ফখর জামান ৫৫ বল খেলে করেন ৩২। মোহাম্মদ রিজওয়ানও সুবিধা করতে পারেননি, ৫ রানে থামেন তিনি।
বাবর আজম ৫১ বল খেলে করেন ২৯ রান। ৯৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে সালমান আগা আর হুসাইন তালাত ১২১ বলে যোগ করেন ১৩৮ রান। তালাত ৬৩ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন।
শেষদিকে ২৩ বলে ৩৬ রানের ক্যামিও উপহার দেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। সালমান আগা ৮৩ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ১০৫ রানে। ৮৭ বলের ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি হাঁকান আগা।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৫৪ রানে নেন ৩টি উইকেট।
এমএমআর/এমএমকে

2 hours ago
6









English (US) ·