রূপচর্চায় লবণের ব্যবহারে ত্বক হবে সুন্দর। তবে সাধারণ লবণ নয়, সেটি হতে হবে হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট। প্রাকৃতিকভাবে গোলাপি রঙের এই লবণ হিমালয় পর্বতের পাদদেশে পাওয়া যায় বলে একে হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট বলা হয়। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এটি বেশ কার্যকরী।
আসুন জেনে নিই, পিঙ্ক সল্ট ব্যবহারে ত্বকের কী কী উপকার পাওয়া যেতে পারে—
১. ত্বকের বলিরেখা দূর হবে
ত্বকের যত্নের রুটিনে টোনারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট দিয়ে টোনার তৈরি করতে পারেন। টোনার বানানোর জন্য আধা কাপ পানিতে আধা চা চামচ পিঙ্ক সল্ট, ১ চা চামচ নারিকেল তেল ও ২ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার একটি স্প্রে বোতল পরিষ্কার করে তাতে টোনারটি ঢেলে ব্যবহার করুন। এই টোনার ত্বককে টানটান করে বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করবে।
২. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে
এক চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি দিয়ে মুখ ধুলেই ত্বক উজ্জ্বল হবে ও লাবণ্য ফিরে পাবে। এছাড়াও, সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহারে রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকে প্রাণ ফিরে আসে।
৩. ব্রণ দূর করবে
পিঙ্ক সল্ট ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। ২ চা চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে ১/৪ চা চামচ পিঙ্ক সল্ট নিয়ে গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এই প্যাক ব্যবহারে ত্বকের ব্রণ কমবে।
৪. ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য আনবে
ত্বকের পিএইচ মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট। এতে থাকা সোডিয়াম ক্লোরাইড, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম ত্বকের জ্বালা নিরাময় করে। ২ চা চামচ পিঙ্ক সল্টের সঙ্গে ৪ চা চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে ফেস প্যাক বানান। মুখে ব্যবহার করে ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহারে ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
৫. মৃত কোষ দূর করবে
পিঙ্ক সল্ট ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এটি একটি প্রাকৃতিক স্ক্রাব। ১ চা চামচ পিঙ্ক সল্ট, ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল ও ১ চা চামচ শুকনো গোলাপের পাপড়ি একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানান। মুখে লাগিয়ে আলতোভাবে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহারে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয়ে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হবে।
সূত্র: হেলথ লাইন, বি বিউটিফুল ইন্ডিয়া
এসএকেওয়াই/এএমপি/জিকেএস