রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রি, দোকান সিলগালা

3 months ago 47

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে গুটিবসন্তে আক্রান্ত মৃতপ্রায় গরু গোপনে জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ওই দোকানটি সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১ জুন) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নের জিরণগাছা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওই মাংস জব্দ করে কেরোসিন মিশিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলার পাশাপাশি বিতর্কিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি সিলগালার নির্দেশ দেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য গাজী ফারুক হোসেন জানান, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীকলা গ্রামের সহিল উদ্দীন ওরফে সলু কসাইয়ের ছেলে মোজারুল ইসলাম (৩৬), কুশলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মরহুম সোহরাব সরদারের ছেলে মিলন (৩৪) ও একই গ্রামের মরহুম দেলবার সরদারের ছেলে মুনসুর আলী (৫৫) দীর্ঘদিন যাবত জিরণগাছা বাজারে মাংস বিক্রি করে আসছেন। শনিবার ভোর ৫টার দিকে তারা বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বেজুয়া গ্রামের হজরত আলীর ছেলে আমিরুল ইসলামের গুটিবসন্ত রোগে আক্রান্ত একটা মৃতপ্রায় গরু ৯ হাজার টাকায় কিনে ওই গোয়ালে জবাই করে। সেই মাংস জিরণগাছা বাজারে এনে দেশী এড়ে গরুর মাংস হিসেবে প্রচার দিয়ে বিক্রি করতে থাকে তারা।

এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে ক্রেতা ও জনসাধারণের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। জনতা মাংসের দোকান ঘেরাও করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এসময় সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান অভিযুক্ত তিন কসাই।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজাহার আলী। এসময় তিনি প্রায় ১৬০ কেজি মাংস কেরোসিন মিশিয়ে মাটির নিচে পুঁতে ফেলার নির্দেশ দেন। মাংসের দোকান সিলগালা করার পাশাপাশি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় মাংস বিক্রিতে ব্যবহৃত কনক্রিটের চাতাল।

এ বিষয়ে মো. আজাহার আলী বলেন, রোগাক্রান্ত গরুর মাংস মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এসব মাংস বিক্রি করায় অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আহসানুর রহমান রাজীব/এনআইবি/এএসএম

Read Entire Article