রোগীদের কষ্ট হবে ভেবে মন্ত্রিত্ব পদ প্রত্যাখ্যান করেন নেপালের এক চিকিৎসক
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি গত মঙ্গলবার সকালে তিলগঙ্গা চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট পরিদর্শনের পাশাপাশি চিকিৎসক সন্দুক রুইতের সঙ্গে দেখা করেছেন। এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
প্রধানমন্ত্রীর তিলগঙ্গা হাসপাতালে যাওয়ার খবর আগেই জেনেছিলেন সাংবাদিকরা। সে অনুযায়ী তারা হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করেন। সুশীলা কার্কি হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে বেরিয়ে এলে সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, তিনি ডা. রুইতের সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি এড়িয়ে যান।
নেপালের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সেতোপতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেকে ধারণা করছে মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব নিয়েই তিনি ডা. সন্দুক রুইতের কাছে গিয়েছিলেন। কারণ, দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী কার্কি মন্ত্রী পদে বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করে আসছেন।
এদিকে সুশীলা কার্কির কাছ থেকে এ প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে সাংবাদিকরা ডা. রুইতের কাছে বিষয়টি জানতে চান। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে (চক্ষু হাসপাতালে) এত কাজ ফেলে কীভাবে যেতে পারি? আমি আমার রোগীদের ছেড়ে যাব না।’
প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি তার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের প্রস্তুতির সময়ই ডা. রুইতের সঙ্গে দেখা করেন। এরই মধ্যে চার সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। কার্কির নেতৃত্বাধীন সরকার ১১ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে নামে দেশটির তরুণ প্রজন্ম। কিন্তু পুলিশ এতে গুলি চালালে ১৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। পরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। এরপরই নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।