ইসরায়েলের বিরুদ্ধে উপসাগরে শুরু হলো নতুন যুদ্ধের কাউন্টডাউন

2 hours ago 5

কাতারের আকাশে সম্প্রতি গর্জে উঠেছিল ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান। বজ্রপাতের মতো নেমে আসা হামলায় প্রাণ হারান ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর ৫ সদস্য আর এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা। এ ঘটনায় যেন মুহূর্তেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা উপসাগরীয় অঞ্চল। কাতারের মাটিতে এই হামলাকে শুধু একটি দেশের উপর নয়, বরং পুরো উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) উপর হামলা হিসেবে দেখছে উপসাগরীয় দেশগুলো। আর সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণই দেখা গেল দোহায় আয়োজিত জরুরি বৈঠকে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দোহায় অনুষ্ঠিত হয় আরব-ইসলামিক জরুরি সম্মেলন। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি, জিসিসি মহাসচিব জাসিম আল-বুদাইউই, ওআইসির সহকারী মহাসচিব ইউসুফ আল-দোবাই এবং আরব লীগের সহকারী মহাসচিব হোসাম জাকি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিলেন। উপসাগরীয় নেতারা এক কণ্ঠে জানান, কাতারের উপর আক্রমণ মানেই গোটা জিসিসির উপর আক্রমণ।

জরুরি বৈঠকে নেতৃত্ব দেন কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ বিন মোহাম্মদ আল-আত্তিয়া। উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কুয়েত, ওমান এবং বাহরাইনের শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা। বৈঠক  শেষে জিসিসির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে একটি জোরালো যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে। বিবৃতিতে বলা হয়, সদস্য দেশগুলো আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করতে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। এর অংশ হিসেবে তারা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে।

একটি যৌথ সামরিক কমান্ডের গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান বৃদ্ধি করা হবে। উপসাগরীয় অঞ্চলের জন্য একটি যৌথ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা হবে এবং একটি যৌথ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কতা ব্যবস্থা তৈরি করা হবে। যাতে ভবিষ্যতে সম্ভাব্য যে কোনো হামলা বা হুমকি মোকাবিলা করা যায়। পাশপাশি তারা তিন মাসের মধ্যে অপারেশন এবং বিমান প্রতিরক্ষা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সমন্বয় মহড়া এবং একটি বৃহৎ আকারের বিমান মহড়া পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছেন।

জিসিসি প্রতিরক্ষা পরিষদ তাদের বিবৃতিতে ইসরায়েলের হামলাকে বলেছে- গুরুতর উসকানি এবং আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের স্পষ্ট লঙ্ঘন। তারা সতর্ক করে বলেছে, এই হামলা শুধু কাতারের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত নয়, বরং গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য কাতারের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টাকেও দুর্বল করার ষড়যন্ত্র।

 

Read Entire Article