পাঁচ বছর একসঙ্গে খেলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং ওয়েন রুনি। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনকে তিনটি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ও একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়েছেন তারা দু’জন।
ক্লাবের জার্সিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেললেও জাতীয় দলের জার্সিতে যখনই দু’জন মুখোমুখি হতেন, তখন রোনালদোর প্রতি রুনির বিদ্বেষ দেখা যেতো বেশি। তখনই বোজা যেতো দু’জনের সম্পর্ক মোটেও ভালো নয়। ২০০৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড–পর্তুগাল কোয়ার্টার ফাইনালে রুনির লাল কার্ডে রোনালদোর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
সেই রোনালদো এখনও খেলছেন। আর রুনি খেলা ছেড়ে পুরোদস্তুর কোচ হয়ে গেছেন। দীর্ঘদিন পর রোনালদোর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন রুনি। জানালেন, রোনালদোকে কখনোই ঘৃণা করতেন না তিনি। একই সঙ্গে মেসি এবং রোনালদোর তুলনা করতেও নারাজ ছিলেন তিনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তি রুনি বরং পর্তুগিজ তারকাকে তিনি ‘জিনিয়াস’ বলে অভিহিত করেন।
‘রিও ফার্ডিন্যান্ড প্রেজেন্টস’ পডকাস্টে রুনি বলেন, ‘মানুষ ভাবে আমি রোনালদোকে ঘৃণা করি। আসলে আমি ওকে ভালোবাসি। আমি মনে করি, ও একজন জিনিয়াস। খেলোয়াড় হিসেবে ও অসাধারণ। আমি ক্রিস্টিয়ানোকে ভালোবাসি এবং ওর সঙ্গে খেলতে পেরে আনন্দিত। আমরা আসলে খুব ঘনিষ্ঠ ছিলাম।’
মেসি বনাম রোনালদো বিতর্ক নিয়ে রুনির ব্যাখ্যা, ‘আমি শুধু বলেছিলাম মেসির খেলার ধরনে একটু বাড়তি কিছু ছিল— ড্রিবলিং, খেলোয়াড়দের কাটানো ইত্যাদি। রোনালদো ছিলেন খাঁটি গোলস্কোরার, এক কথায় কিলার। এজন্য অনেকে ভাবে আমি রোনালদোকে অপছন্দ করি, আসলে ব্যাপারটা মোটেও তেমন নয়।’
মেসি ও রোনালদোর মধ্যে তুলনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুজনই ইতিহাসের সেরা ফুটবলার। কারও পক্ষ নেওয়া সম্ভব নয়। আমি মেসির ফ্লেয়ারটা পছন্দ করি, কিন্তু রোনালদোকে নিয়ে খারাপ কিছু বলার সুযোগ নেই। ও ৪০ বছর বয়সেও যা করছে, তা অবিশ্বাস্য।’
রুনির মতে, মেসি ও রোনালদো দুজনই ফুটবল ইতিহাসে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে নিঃসন্দেহে শীর্ষে।
আইএইচএস/