র‍্যাগিংয়ের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৯ পরিবারকে তলব

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ম্যানার’ শেখানোর নামে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় বাংলা বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ৩ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত আরও ৯ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করার পাশাপাশি তাদের পরিবারকে ডেকে এ বিষয়ে জানাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাতে সিন্ডিকেট সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা কমিটির এ সিদ্ধান্ত জানান উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলী।  এ সময় তিনি জানান, বাংলা বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ১২ জন শিক্ষার্থী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে র‍্যাগিংয়ে জড়িত থাকায় মামুন মিয়া ও রাফি আহমেদকে দুই শিক্ষাবর্ষ এবং আজিজুল হাকিমকে এক শিক্ষাবর্ষের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকি ৯ শিক্ষার্থী-মনিরুজ্জামান, গোলাম মোর্শেদ তামি, মেঘনাথ রায়, মাসুদ রানা, সাইদুর রহমান শাকিল, সুজন মিয়া, আকরাম আলি, ফাহিম ইসলাম ও ফরাদ হোসেনকে সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের অভিভাবকদের ডেকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত ১২ জন শিক্ষার্থীর আবাসিক হলে সিট থাকলে তা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা ভবিষ্যতে আর আবাসিক হলে থাকার সুযোগ-সুবিধা পাব

র‍্যাগিংয়ের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৯ পরিবারকে তলব

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ম্যানার’ শেখানোর নামে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় বাংলা বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ৩ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত আরও ৯ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করার পাশাপাশি তাদের পরিবারকে ডেকে এ বিষয়ে জানাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাতে সিন্ডিকেট সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা কমিটির এ সিদ্ধান্ত জানান উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলী। 

এ সময় তিনি জানান, বাংলা বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ১২ জন শিক্ষার্থী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে র‍্যাগিংয়ে জড়িত থাকায় মামুন মিয়া ও রাফি আহমেদকে দুই শিক্ষাবর্ষ এবং আজিজুল হাকিমকে এক শিক্ষাবর্ষের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকি ৯ শিক্ষার্থী-মনিরুজ্জামান, গোলাম মোর্শেদ তামি, মেঘনাথ রায়, মাসুদ রানা, সাইদুর রহমান শাকিল, সুজন মিয়া, আকরাম আলি, ফাহিম ইসলাম ও ফরাদ হোসেনকে সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের অভিভাবকদের ডেকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত ১২ জন শিক্ষার্থীর আবাসিক হলে সিট থাকলে তা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা ভবিষ্যতে আর আবাসিক হলে থাকার সুযোগ-সুবিধা পাবে না। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজ করলে তাদের ছাত্রত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

সিন্ডিকেট সভাকক্ষে অভিযুক্তদের বিষয়ে শাস্তির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে অনেকে হাততালি দিলেও কেউ কেউ এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। 

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির কোনো আপডেট পাওয়া যায় না। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বিষয়ে খুব দ্রুত সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরও বেশি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও এ রকম বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। 

এর আগে গত ২৩ নভেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় ২৪ হলের ছাদে বাংলা বিভাগের ১৭তম ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে গিয়ে ‘ম্যানার’ শেখানোর নামে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের ১৬তম ব্যাচের কয়েক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। 

র‍্যাগিংয়ের একপর্যায়ে দ্বীন ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় মারা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে এ ঘটনা তদন্তে হল প্রশাসন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow