লঙ্কানদের বিপক্ষে ১৬৯ রান তাড়ায় তানজিদ তামিম শূন্য রানেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ম্যাচ জেতানো দুটি জুটি গড়েন সাইফ হাসান।
মারার বল মারলেন, দেখে খেলার বল খেললেন দেখেশুনে। সাইফের ব্যাটিংয়ে দেখা গেলো দারুণ বুদ্ধিমত্তা। ক্যালকুলেটিভ এক ইনিংসে বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দিলেন ডানহাতি এই ওপেনার। এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির সুপার ফোরের উদ্বোধনী ম্যাচে জিতলেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও।
দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬৯ তাড়া করা ম্যাচে ৩৬ বলে ফিফটি পূরণ করেন সাইফ। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ২ বাউন্ডারি ৪ ছক্কায় তিনি খেলেন ৬১ রানের ঝোড়ো ইনিংস।
দ্বিতীয় উইকেটে লিটনকে নিয়ে ৩৪ বলে ৫৯ আর তৃতীয় উইকেটে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৪৫ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন সাইফ। শুরুতেই উইকেট হারানোর পর ক্রিজে এসে অধিনায়ক লিটন তাকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, ম্যাচ শেষে জানালেন সাইফ।
সাইফ বলেন, ‘উনি আমাকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন, বলের আগে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন কী আসতে পারে। আলহামদুলিল্লাহ, সেটা কাজে দিয়েছে।’
লিটন ২৩ রান করে আউট হলেও, সাইফ ও হৃদয় মিলে ৫৪ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। এই জুটি শ্রীলঙ্কার নিয়ন্ত্রিত বোলিং আক্রমণের (নুয়ান তুষারা, দুশমন্ত চামিরা ও হাসারাঙ্গা) বিরুদ্ধে লড়াই করে রানরেট এগিয়ে রাখে।
সাইফ বলেন, ‘পাওয়ার প্লেতে ফিল্ডিং সীমাবদ্ধতা থাকে, তাই সেটাকে কাজে লাগাতে হয়। প্রতিটি ম্যাচের আগে আমাদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকে প্রতিপক্ষ বোলারদের নিয়ে। সবাই নিজের নিজের পরিকল্পনা নিয়ে খেলে, আর সেটাই আমরা প্রয়োগ করার চেষ্টা করি।’
এর আগে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজ। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নেওয়া কাটার মাস্টারকে প্রশংসায় ভাসিয়ে সাইফ বলেন, ‘মোস্তাফিজ ভাই সবসময়ই ভালো বল করেন। গত কয়েক মাস ধরেই ভালো ফর্মে আছেন। তিনি যখনই বল করতে আসেন, দল সংকটে থাকে, আর উনি সেই মুহূর্তে কাজ করে দেন। ওনার মতো ম্যাচ উইনার বোলার থাকলে দলের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।’
এমএমআর/এএসএম