লিভারপুলকে হারিয়ে ৭০ বছরের অপেক্ষার অবসান নিউক্যাসলের
নিউক্যাসল ইউনাইটেড অবশেষে তাদের ৭০ বছরের শিরোপা-খরা কাটালো। রোববার ওয়েম্বলিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তারা কারাবাও কাপের ফাইনালে লিভারপুলকে ২-১ গোলে হারিয়ে ঘরোয়া ট্রফির স্বাদ পেল।
নিউক্যাসলের বাল্যকালের সমর্থক ড্যান বার্ন ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে দুর্দান্ত এক হেডারে দলকে লিড এনে দেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আলেকজান্ডার ইসাক কাছ থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। যোগ করা সময়ে লিভারপুলের হয়ে একমাত্র সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন ফেদেরিকো চিয়েসা।
২০২৩ সালের কারাবাও কাপ ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হারার পর এবারের ফাইনালে জয় তুলে নিতে মরিয়া ছিল এডি হাওয়ের দল। সেই লক্ষ্য পূরণ করে তারা ১৯৫৫ সালের এফএ কাপ জয়ের পর প্রথম ঘরোয়া শিরোপা অর্জন করল। এ জয়ের মাধ্যমে এডি হাও ইংলিশ ম্যানেজার হিসেবে বড় কোনো ট্রফি জেতার কীর্তি গড়লেন, যা শেষবার ঘটেছিল ২০০৮ সালে, যখন হ্যারি রেডন্যাপ পোর্টসমাউথকে এফএ কাপ জেতান।
মাত্র পাঁচ দিন আগে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে পিএসজির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল লিভারপুল। এরপর কারাবাও কাপ ফাইনালেও তারা নিজেদের সেরা ফুটবল খেলতে পারেনি। দলের প্রধান তারকা মোহাম্মদ সালাহ ছিলেন একেবারেই নিষ্প্রভ, যা লিভারপুলের আক্রমণে প্রভাব ফেলেছে।
এই হার লিভারপুলের জন্য একটি সতর্ক সংকেতও বলা যেতে পারে। এখন তাদের একমাত্র লক্ষ্য প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়, কিন্তু সামনের ম্যাচগুলোতে আরও শক্তিশালীভাবে ফিরে না আসলে মৌসুমের শেষ ভাগটি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
এদিকে আলেকজান্ডার ইসাক নিউক্যাসলের হয়ে আবারও নিজের প্রতিভার পরিচয় দিলেন। ফাইনালে তার গোল নিশ্চিত করে দিল নিউক্যাসলের শিরোপা জয়। তবে এই সুইডিশ ফরোয়ার্ডকে ধরে রাখা নিউক্যাসলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আর্সেনালসহ ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো তার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে।