লুট হওয়া পাথর বালু ও মাটি দিয়ে আড়ালের চেষ্টা
সিলেটে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে যৌথ বাহিনী সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ৪৯ হাজার ঘনফুট উদ্ধার করেছে। এদিকে অভিযানের ভয়ে কোম্পানীগঞ্জের বল্লাঘাট থেকে ধোপাগুল পর্যন্ত ক্রাশার মিল ও মজুত এলাকায় লুট করা পাথরের ওপর বালু ও মাটি ফেলে তা আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, তিন ধাপে ৪৯ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়েছে। এসব পাথর উদ্ধার করে প্রশাসন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নিয়ে সাজানোর জন্য চেষ্টা করছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সরেজমিন দেখা যায়, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জের ক্রাশার মিলের সামনে আমদানি করা পাথর রাখা ও মিলের পেছনে লুটের পাথর বালু ও মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। কেউ কেউ দ্রুত পাথর ভেঙে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বুধবার রাতে অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে কোম্পানীগঞ্জের থেকে ধোপাগুল পর্যন্ত অনেক ক্রাশার মিল বন্ধ। জেলার ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটরা কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। অভিযানের কারণে অনেক মিল মালিক ও বালু-পাথর ব্যবসায়ীরা গা-ঢাকা দিয়েছেন।
সিলেট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াৎ কালবেলাকে বলেন, কিছু মিল মালিক সাদাপাথরে লুট হওয়ার পাথর বালু ও মাটিচাপা দিয়ে আড়ালের চেষ্টা করছেন বলে শুনেছি। এ ছাড়া বিভিন্ন বাড়িতে পাথর লুকানো হচ্ছে। পাথর উদ্ধার করতে আমাদের ২৪ ঘণ্টা অভিযান অব্যাহত রয়েছে।