সিলেটে লুট হওয়া সাদা পাথর উদ্ধারে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার আলমের দেওয়া তিনদিনের আলটিমেটাম শেষ হয়েছে। আলটিমেটামের শেষ দিন মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা স্বেচ্ছায় সাড়ে ছয় লাখ ঘনফুট পাথর ফেরত দিয়েছেন।
একইসঙ্গে প্রশাসনের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে আরও ১৯ লাখ ঘনফুট পাথর। সবমিলিয়ে লুট হওয়া পাথরের মধ্যে ২৬ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ১১ লাখ ঘনফুট সাদা পাথরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছন জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর এলাকা পরিদর্শন গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আজকের পর যাদের কাছে লুটের পাথর পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার সকাল থেকেই এ অভিযান শুরু হবে।’
তিনি বলেন, এত বিপুল পরিমাণ পাথর প্রতিস্থাপন একটি কঠিন কাজ। এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ঘনফুট পাথর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি অংশও প্রতিস্থাপন করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ডিসি সারওয়ার আলম বলেন, ‘এই কাজে প্রতিদিন ৫০০ শ্রমিক, ৪০০ নৌকা আর ৩০০-এর বেশি ট্রাক কাজ করছে। সব পাথর প্রতিস্থাপন করা গেলে সাদা পাথরের সৌন্দর্য অনেকটাই ফিরে আসবে। তবে প্রাকৃতিকভাবে যেমন ছিল, তেমনটা হুবহু ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’
কত পাথর লুট হয়েছে—এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এটি সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে আমার ধারণা, অন্তত ৩০ শতাংশ লুট হওয়া পাথর আর উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। এগুলো হয় ভেঙে ফেলা হয়েছে, নয়তো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
লুটের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে নিরীহ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকেও আমরা সতর্ক আছি।’
ডিসি আরও বলেন, ‘অপরাধীদের নাম এখনই প্রকাশ করা হলে তারা পালিয়ে যেতে পারে। তাই নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে প্রকৃত দোষীরা আইনের আওতায় আসবেই।’
এদিকে জেলা প্রশাসকের তদন্ত প্রতিবেদন এরইমধ্যে সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির কাজও চলছে। মঙ্গলবার সাদা পাথর পরিদর্শন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটি।
আহমেদ জামিল/এসআর/এএসএম