লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মুক্তি পাচ্ছেন যে ৬ জন

4 days ago 4

সব মামলায় খালাস পাওয়ায় কারামুক্ত হচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। ১৭ বছর কারাবাসের পর বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে ছাড়া পেতে যাচ্ছেন।

তার সঙ্গে কারামুক্তি পেতে পারেন আরও পাঁচজন। তারা হলেন- কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে উইং কমান্ডার (অব.) সাহাবুদ্দিন আহম্মদ, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে এনএসআইয়ের সাবেক ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন খান, সিইউএফএলের সাবেক এমডি মহসিন উদ্দিন তালুকদার, এনএসআইয়ের সাবেক ডিজি ও ডিজিএফআইয়ের ডিরেক্টর মেজর জেনারেল (অব) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী এবং কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মেজর (অব.) এম লিয়াকত হোসেন।

কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির এসব তথ্য জানান।

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর প্রায় ১৭ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। এরমধ্যে কয়েকবার অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছেন।

ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে বাবরের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির খালাস চেয়ে এ আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান। অন্য পাঁচজন আসামির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

এর আগে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবর, মহসিন তালুকদার, এনামুল হক, রাজ্জাকুল হায়দারসহ ছয় আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ছয় আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াকে মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়।

লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অষ্টম সংসদে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে নির্বাচনে লড়ে তিনি পরাজিত হন।

টিটি/এসআইটি/জিকেএস

Read Entire Article