লোভে পাপ, পাপে চীনে পাচার!

আবুল কালাম আজাদ, যুক্তরাষ্ট্র মানুষের জীবনে লোভ এক চিরন্তন দুর্বলতা। লোভ কখনো টাকার, কখনো স্বপ্নের, কখনো বিদেশে ভালো জীবনের। এই লোভকেই হাতিয়ার বানিয়ে এক ভয়ংকর অপরাধচক্র এখন বাংলাদেশের মেয়েদের জীবনকে অন্ধকারের গভীরে ঠেলে দিচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সহজলভ্যতা আর বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন—সব মিলিয়ে ‌‘চাইনিজ বিয়ে’ এখন এক ভয়াবহ ফাঁদ। মাত্র কয়েক সপ্তাহের অনলাইন আলাপ, ট্রান্সলেটর অ্যাপের মাধ্যমে কথাবার্তা, তারপর বিয়ে! শুনতে হয়তো রোমান্টিক মনে হয়, কিন্তু বাস্তবতা নৃশংস। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক তরুণী এমন এক চাইনিজ ছেলের সঙ্গে বিয়ে করে স্বপ্ন দেখেছিল সুখের সংসার। কিন্তু সেই বিয়ের পরেই তার জীবন হয়ে উঠেছে দুঃস্বপ্ন। এই গল্প শুধু তার নয়—এটি শত শত মেয়ের বাস্তব, যারা লোভে পড়ে আজ বন্দি অচেনা দেশে। আজকের বিশ্ব প্রযুক্তিনির্ভর। মানুষ এখন অনলাইনে কথা বলে, হাসে, প্রেমে পড়ে, এমনকি বিয়েও করে। কিন্তু এই ভার্চুয়াল সম্পর্ক কতটা বাস্তব, কতটা নিরাপদ—সেই প্রশ্নের উত্তর অনেকের জীবন দিয়েই দিতে হচ্ছে। চীনের অসাধু কিছু নাগরিক দক্ষিণ এশিয়ার দরিদ্র দেশগুলোর মেয়েদের টার্গেট করছে। ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ক

লোভে পাপ, পাপে চীনে পাচার!

আবুল কালাম আজাদ, যুক্তরাষ্ট্র

মানুষের জীবনে লোভ এক চিরন্তন দুর্বলতা। লোভ কখনো টাকার, কখনো স্বপ্নের, কখনো বিদেশে ভালো জীবনের। এই লোভকেই হাতিয়ার বানিয়ে এক ভয়ংকর অপরাধচক্র এখন বাংলাদেশের মেয়েদের জীবনকে অন্ধকারের গভীরে ঠেলে দিচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সহজলভ্যতা আর বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন—সব মিলিয়ে ‌‘চাইনিজ বিয়ে’ এখন এক ভয়াবহ ফাঁদ।

মাত্র কয়েক সপ্তাহের অনলাইন আলাপ, ট্রান্সলেটর অ্যাপের মাধ্যমে কথাবার্তা, তারপর বিয়ে! শুনতে হয়তো রোমান্টিক মনে হয়, কিন্তু বাস্তবতা নৃশংস। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক তরুণী এমন এক চাইনিজ ছেলের সঙ্গে বিয়ে করে স্বপ্ন দেখেছিল সুখের সংসার। কিন্তু সেই বিয়ের পরেই তার জীবন হয়ে উঠেছে দুঃস্বপ্ন। এই গল্প শুধু তার নয়—এটি শত শত মেয়ের বাস্তব, যারা লোভে পড়ে আজ বন্দি অচেনা দেশে।

আজকের বিশ্ব প্রযুক্তিনির্ভর। মানুষ এখন অনলাইনে কথা বলে, হাসে, প্রেমে পড়ে, এমনকি বিয়েও করে। কিন্তু এই ভার্চুয়াল সম্পর্ক কতটা বাস্তব, কতটা নিরাপদ—সেই প্রশ্নের উত্তর অনেকের জীবন দিয়েই দিতে হচ্ছে। চীনের অসাধু কিছু নাগরিক দক্ষিণ এশিয়ার দরিদ্র দেশগুলোর মেয়েদের টার্গেট করছে। ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা অনলাইন ডেটিং অ্যাপে তারা ছদ্মনামে প্রোফাইল খোলে, তারপর প্রেমের অভিনয় করে। দিনরাতের মিষ্টি কথাবার্তা, ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি, ছোটখাটো উপহার এবং হঠাৎ একদিন বিয়ের প্রস্তাব—সবকিছুই এক সাজানো খেলা। মেয়েরা ভাবে, এত মনোযোগ নিশ্চয়ই ভালোবাসা। অথচ এর পেছনে কাজ করছে এক সুসংগঠিত মানবপাচার নেটওয়ার্ক।

চীনা দূতাবাস নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছে এমন বিয়ে ও অনলাইন প্রতারণা থেকে দূরে থাকতে। কিন্তু তারা সরাসরি বলতে পারেনি—তাদেরই অনেক নাগরিক এখন মানবপাচারে জড়িত। কারণ, তাতে আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। অথচ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল ও মিয়ানমারে এমন অসংখ্য চক্র ধরা পড়েছে, যাদের সঙ্গে চাইনিজ নাগরিকরাও যুক্ত ছিল। তারা দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করিয়ে চীনে নিয়ে যাচ্ছে, তারপর বিক্রি করছে বয়স্ক পুরুষদের কাছে বা বাধ্য করছে দেহব্যবসায়।

এই অপরাধের মূল শিকড় চীনের এক সন্তাননীতির ইতিহাসে। দীর্ঘদিন ধরে এক সন্তান নীতির ফলে দেশটিতে নারী-পুরুষের অনুপাত ভয়াবহভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। এখন প্রতি ১০০ নারীর বিপরীতে প্রায় ১১৫ পুরুষ। বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে নারী সংকট তীব্র। অনেক পুরুষ বিয়ে করতে পারছে না, বংশধারা টিকিয়ে রাখার চিন্তা তাদের পীড়িত করে। আর এই সামাজিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে অপরাধচক্র গড়ে তুলেছে এক ‘বউ কেনার বাজার’। দরিদ্র দেশের মেয়েরা তাই হয়ে উঠছে তাদের লক্ষ্যবস্তু।

বাংলাদেশে ২০১৯ সাল থেকে এই প্রবণতা বাড়ছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত শতাধিক নারী এমন ‘চাইনিজ বিয়ে’র মাধ্যমে বিদেশে গেছেন, যাদের অনেকেই ফিরে আসতে পারেননি। যারা ফিরে এসেছেন, তারা বলেছেন—চীনে পৌঁছানোর পর থেকেই শুরু হয় বন্দি জীবন। ভাষা না জানায় যোগাযোগ অসম্ভব, ফোন কেড়ে নেওয়া হয়, পালানোর চেষ্টা করলে মারধর করা হয়। অনেককে গৃহকর্মে বাধ্য করা হয়, কেউ কেউ বিক্রি হয়ে যায় বৃদ্ধ পুরুষদের কাছে। কেউ আবার বাধ্য হয় পতিতালয়ে যেতে। অনেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে।

এই চক্রের কাজের ধরণ খুব পরিকল্পিত। তারা আগে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে মেয়েদের খোঁজ নেয়—বিশেষ করে নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েরা, যারা আর্থিকভাবে দুর্বল বা বিদেশে ভালো জীবনের স্বপ্নে বিভোর। তারপর শুরু হয় অনলাইন যোগাযোগ। চাইনিজ ছেলেটি ভিডিও কলে দেখা দেয়, উপহার পাঠায়, ‘হালাল’ বিয়ের প্রস্তাব দেয়। পরিবারও রাজি হয়, কারণ বিদেশি জামাই মানেই উন্নত ভবিষ্যৎ। কয়েক দিনের মধ্যেই মেয়েটি চীনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়, আর তারপর থেকে তার খোঁজ মেলে না।

বাংলাদেশে মানবপাচার প্রতিরোধে আইন থাকলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ দুর্বল। অনেক পরিবার লজ্জায় মুখ খোলে না, মামলা করে না। যারা করে, তাদের হয়রানি পোহাতে হয় নানা দিক থেকে। পাচারচক্রের সদস্যরা প্রভাবশালী ও অর্থশালী, ফলে অনেক সময় স্থানীয় পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও স্থবির হয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক অপরাধ হওয়ায় তদন্ত জটিল হয়। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা বিদেশে বন্দি থাকায় সাক্ষ্য-প্রমাণ জোগাড়ও কঠিন।

এই অপরাধের দায় শুধু পাচারচক্রের নয়, সমাজ ও পরিবারেরও আছে বিরাট ভূমিকা। আমরা এখনো মনে করি, বিদেশে বিয়ে মানেই ভাগ্য বদল। অনেক দরিদ্র পরিবার তাই মেয়েকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগকে আশীর্বাদ ভাবছে। অথচ তারা জানে না, এই ‘আশীর্বাদ’ হয়তো মৃত্যুফাঁদ। এই অন্ধ বিশ্বাসকেই পুঁজি করে অপরাধীরা দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে।

গণমাধ্যম কিছুদিন পরপর এমন ঘটনা প্রকাশ করে। তখন সমাজে তোলপাড় হয়, ক্ষোভ দেখা দেয়, কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পর সব ভুলে যাওয়া হয়। অথচ সমস্যাটা রয়ে যায়। এখন প্রয়োজন ধারাবাহিক সচেতনতা—স্কুল, কলেজ, কমিউনিটি পর্যায়ে অনলাইন নিরাপত্তা শিক্ষা এবং তরুণ প্রজন্মকে বোঝানো যে, ভার্চুয়াল ভালোবাসা মানেই সত্য ভালোবাসা নয়।

প্রযুক্তি যেমন মানুষের জীবন সহজ করেছে, তেমনি এটি এখন মানবপাচারের নতুন অস্ত্র। অনলাইন ডেটিং অ্যাপ, ফেসবুক মেসেঞ্জার, টিকটক—এসবের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে প্রতারণার নতুন ক্ষেত্র। যেসব তরুণীরা ভালোবাসা, সম্মান ও নিরাপত্তা খোঁজে, তাদের আবেগকেই টার্গেট করা হচ্ছে। তারা ভাবে, এক বিদেশি ছেলের ভালোবাসা তাদের ভাগ্য বদলাবে। কিন্তু আসলে এই প্রেম হয়ে উঠছে তাদের শিকল।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতেও একই চিত্র। পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ২০১৯ সালে এক বড় চক্র ধরা পড়ে, যারা শতাধিক মেয়েকে চাইনিজ নাগরিকদের সঙ্গে বিয়ে করিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছিল। নেপালেও ঘটেছে একই ঘটনা। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও অনলাইন বিয়ের নামে পাচার বেড়েছে। এই প্রবণতা এখন এক আঞ্চলিক সংকটে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশে ফিরে আসা কিছু ভুক্তভোগীর কাহিনি রীতিমতো হৃদয়বিদারক। এক নারী বলেন, ‘চীনে যাওয়ার পর তার স্বামী তাকে বিক্রি করে দেয় এক বয়স্ক পুরুষের কাছে। প্রতিদিন নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি পালাতে চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। মাসের পর মাস না খেয়ে থেকেছেন, মারধরের কারণে শরীরজুড়ে ক্ষত। অবশেষে কোনোভাবে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় ফিরে আসতে পেরেছেন। এখন তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন, কিন্তু অন্য মেয়েদের সতর্ক করছেন—“বিদেশে সুখ নয়’’, ওখানে অপেক্ষা করছে দাসত্ব।’

আরও পড়ুন

সংবিধানে জুলাই সনদ না থাকলে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কতটা নিরাপদ? 

এই ভুক্তভোগীরা ফিরে এলে সমাজ তাদের গ্রহণও করে না। বরং ‘বিদেশ থেকে পালিয়ে আসা’ নারী হিসেবে তারা নতুন করে অবহেলার শিকার হন। অথচ রাষ্ট্র তাদের পাশে দাঁড়ালে, তাদের অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে সচেতনতা ছড়ানো যেতো। সরকার চাইলে পুনর্বাসন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের কাজে লাগাতে পারে—তারা যেন গ্রামেগঞ্জে গিয়ে মেয়েদের বোঝায়, কেমন ভয়াবহ সেই বিদেশি বিয়ের ফাঁদ।

বাংলাদেশ সরকার অতীতে চীনের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিল এমন বিয়ে ঠেকাতে। কিছু অভিযানও হয়েছে, কিছু দালাল ধরা পড়েছে, কিন্তু মূল নেটওয়ার্ক এখনো সক্রিয়। মানবপাচার এখন আর সীমান্তে সীমাবদ্ধ নয়, এটি ডিজিটাল অপরাধে পরিণত হয়েছে। তাই শুধু পুলিশ নয়, সাইবার ইউনিটকেও সম্পৃক্ত করতে হবে। ফেক প্রোফাইল, বেনামী অ্যাকাউন্ট, অনলাইন বিয়ের দালাল—সবকিছুর ওপর নজরদারি দরকার।

এই সময়ে অনলাইন নিরাপত্তা শিক্ষা সবচেয়ে জরুরি। তরুণীরা যেন শেখে—কীভাবে অচেনা প্রোফাইল চিনতে হয়, কীভাবে সন্দেহজনক বার্তা এড়িয়ে যেতে হয়, আর কীভাবে সম্পর্কের আগে তথ্য যাচাই করতে হয়। ইন্টারনেট এখন এক অরণ্য, যেখানে প্রতিটি গাছই সবুজ নয়—কিছু গাছের ডালে ফাঁসি ঝুলে থাকে।

আমাদের সমাজে বিদেশে বিয়ে মানেই গর্বের বিষয়। কিন্তু সেই মানসিকতা বদলাতে হবে। একটি মেয়ে বিদেশে যাচ্ছে, কিন্তু যাচাই না করে যাচ্ছে—এটি কোনো অর্জন নয়, বরং আত্মবিনাশ। পরিবারগুলোকেও বুঝতে হবে—যে মানুষ নিজের ভাষায় কথা বলতে জানে না, তার ভালোবাসা কীভাবে বিশ্বাসযোগ্য হয়?

মানবপাচারকারীরা জানে, মানুষের সবচেয়ে দুর্বল জায়গা হলো ভালোবাসা ও লোভ। তাই তারা ঠিক সেই জায়গাতেই আঘাত করে। কেউ ভালোবাসার ফাঁদে পড়ে, কেউ টাকার, কেউ বিলাসিতার। আর এরই নাম—‘লোভে পাপ, পাপে চীনে পাচার’।

এখন সময় এসেছে আইন, সমাজ ও রাষ্ট্রকে একসঙ্গে দাঁড়ানোর। বিদেশি নাগরিকের সঙ্গে বিয়ের ক্ষেত্রে কঠোর যাচাই-বাছাই বাধ্যতামূলক করতে হবে। ভুয়া বিবাহ এজেন্সি, অনলাইন দালাল, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় প্রতারক প্রোফাইলগুলোকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

গণমাধ্যম, বিশেষত টেলিভিশন ও অনলাইন পোর্টালগুলোতে ধারাবাহিক প্রচারণা চালাতে হবে। স্কুল ও কলেজে সাইবার নিরাপত্তা শিক্ষা চালু করতে হবে। প্রতিটি থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ডেস্ক থাকতে হবে, যেন সন্দেহজনক বিয়ের তথ্য তদন্ত করা যায়।

এই অপরাধ থামাতে হলে প্রয়োজন নৈতিক জাগরণও। আমাদের বুঝতে হবে, ভালো জীবন মানে শুধু বিদেশ নয়। মর্যাদা, নিরাপত্তা, সম্মান—এই তিনটি জিনিসই জীবনের প্রকৃত উন্নতি। যে মেয়ে আজ বিদেশে যাওয়ার আশায় নিজের জীবন বাজি রাখছে, তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে ভালোবাসা, শিক্ষা ও সচেতনতার শক্তিতে।

আমরা যদি এখনই না জাগি, আরও কত শত মেয়ে হারিয়ে যাবে অচেনা দেশে, নিঃশব্দে। তাদের কান্না পৌঁছাবে না কোনো আদালতে, কোনো সংসদে, কোনো টেলিভিশনে।

মনে রাখবেন—লোভে পাপ, পাপে চীনে পাচার। এক মুহূর্তের লোভ, এক মুহূর্তের ভুল বিশ্বাস, এক জীবনের অন্ধকার।
সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন, নিজের মেয়েকে রক্ষা করুন। প্রেমে নয়, সতর্কতায় বাঁচুক নারী—বাঁচুক মানবতা।

আবুল কালাম আজাদ
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ও কলামিস্ট
[email protected]

এমআরএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow