শত শত কামিকাজি ড্রোন কিনছে ভারত

শত শত কামিকাজি ড্রোন কিনছে ভারত। দেশটিতে এজন্য প্রায় দুই হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অপারেশন সিঁদুর থেকে নেওয়া অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এসব ড্রোন কেনা হচ্ছে। এই ড্রোনগুলো তিনটি প্রতিরক্ষা বাহিনী ও বিশেষ বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহার করা হবে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিরক্ষা সূত্রে এএনআই জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এ প্রস্তাবটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ পরিষদের (ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল) উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এটি অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফাস্ট-ট্র্যাক প্রক্রিয়ার আওতায় বাস্তবায়িত এই প্রস্তাব অনুযায়ী, সেনাবাহিনী দেশীয় উৎস থেকে প্রায় ৮৫০টি লয়টারিং মিউনিশন (কামিকাজে ড্রোন) ও সেগুলোর লঞ্চার সংগ্রহ করবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত বিপুলসংখ্যক লয়টারিং মিউনিশন ব্যবহার করছে ভারতীয় সেনা। ভবিষ্যতে প্রায় ৩০ হাজার এমন ড্রোন অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে, যাতে সব যুদ্ধ ইউনিটকে আধুনিকভাবে সজ্জিত করা যায়। নতুন কাঠামো অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর প্রতিটি

শত শত কামিকাজি ড্রোন কিনছে ভারত

শত শত কামিকাজি ড্রোন কিনছে ভারত। দেশটিতে এজন্য প্রায় দুই হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অপারেশন সিঁদুর থেকে নেওয়া অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এসব ড্রোন কেনা হচ্ছে। এই ড্রোনগুলো তিনটি প্রতিরক্ষা বাহিনী ও বিশেষ বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহার করা হবে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিরক্ষা সূত্রে এএনআই জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এ প্রস্তাবটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ পরিষদের (ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল) উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এটি অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ফাস্ট-ট্র্যাক প্রক্রিয়ার আওতায় বাস্তবায়িত এই প্রস্তাব অনুযায়ী, সেনাবাহিনী দেশীয় উৎস থেকে প্রায় ৮৫০টি লয়টারিং মিউনিশন (কামিকাজে ড্রোন) ও সেগুলোর লঞ্চার সংগ্রহ করবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত বিপুলসংখ্যক লয়টারিং মিউনিশন ব্যবহার করছে ভারতীয় সেনা। ভবিষ্যতে প্রায় ৩০ হাজার এমন ড্রোন অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে, যাতে সব যুদ্ধ ইউনিটকে আধুনিকভাবে সজ্জিত করা যায়।

নতুন কাঠামো অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর প্রতিটি পদাতিক ব্যাটালিয়নে একটি করে ‘অশনি প্লাটুন’ গঠন করা হবে। এই প্লাটুনগুলো শত্রু অবস্থান লক্ষ্য করে এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ড্রোন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে।

অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে ড্রোন ব্যবহার করে পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালায়। পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে পরিচালিত এই অভিযানের প্রথম দিনেই ৯টি লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে সাতটিতে সফল হামলা চালানো হয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow