শফিকুর রহমান-নাফিজ শারাফাতের বিষয়ে তদন্তে দুদকে আবেদন

3 months ago 20

সিটিজেন টিভিকাণ্ডে সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান ও নাফিজ শারাফাতসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার হোসেন।

রোববার (২৩ জুন) এ আবেদন করা হয়। এতে বলা হয়, শফিকুর রহমান একজন আইনপ্রনেতা ও সাংবাদিক নেতা হওয়া সত্ত্বেও এ বিষয়ে কোনো ধরনের আইনি পদক্ষেপ গ্রহন না করা অদায়িত্বশীলতা এবং সন্দেহজনক। এ ব্যাপারে তার দুর্নীতি তথা মানিলন্ডারিং থাকতে পারে।

‘এ কারণে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান তদন্তে উল্লেখিত পত্রিকা প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু আমলে নিয়ে শফিকুর রহমান, নাফিজ শারাফাত, রাজ্জাকুল হোসেন টুটুল ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’

আবেদনে আরও বলা হয়, বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকে তদন্ত চলমান। রিট পিটিশন ৪৪২৫/২০২৪-এর পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন দুই মাসের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে সিটিজেন টিভির চেয়ারম্যান ও চাঁদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, তাকে গভীর রাতে বাসা থেকে একজন (নাফিজ শারাফাত) বেনজীরের কাছে নিয়ে যান। এরপর (সিটিজেন টিভির) শেয়ার লিখে নেওয়া হয়। ৪-৫ বছর আগে সংসদ সদস্য শফিকুল রহমানকে রাতে তার বাসা থেকে তুলে হোটেল ওয়েস্টিনের নিচ তলায় বেনজীরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে রুট গ্রুপের মালিক রাজ্জাকুল হোসেন টুটুল, নাফিজ শারাফাতসহ আর দুজন উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুর রহমান আরও বলেন, এক পর্যায়ে বিভিন্নভাবে ব্লাকমেইল ও প্রতারণার মাধ্যমে শফিকুর রহমানের সই নিয়ে সিটিজেন টিভির শেয়ার হস্তান্তর করে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে শফিকুর রহমান জানতে পারেন তার নামে সিটিজেন টিভির ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এবং বেনজীরের দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে যথাক্রমে ১৫ শতাংশ করে মোট ৩০ শতাংশ শেয়ার, আরেকজনের নামে (অজ্ঞাত) ২৫ শতাংশ শেয়ার এবং টুটুনের নামে রয়েছে ১৫ শতাংশ শেয়ার। শফিকুর রহমানের ভাষ্যমতে ৪-৫ বছর পার হলেও তিনি এ বিষয়ে কিছু করতে পারেননি।

এফএইচ/জেডএইচ/জিকেএস

Read Entire Article