শয়তানের পূজা করতে শিশুদের যৌন নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৪
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আন্তর্জাতিক শিশুনির্যাতন চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। এ অভিযানে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) পুলিশ। সোমবার (০১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, গত সপ্তাহে সিডনির বিভিন্ন স্থানে ছয়টি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে এই চারজনকে আটক করা হয়। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বয়স ২৬, ৩৯, ৪২ ও ৪৬ বছর। গত বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তে স্ট্রাইক ফোর্স কনস্টানটাইন নামে সিডনিভিত্তিক একটি পেডোফাইল নেটওয়ার্কের সন্ধান পেয়েছে। গোষ্ঠীটি ‘আচার-অনুষ্ঠানভিত্তিক ও শয়তানপূজার থিমযুক্ত’ শিশু নির্যাতনের ভিডিও ও ছবি আন্তর্জাতিক একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিত। পুলিশ প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা একটি অ্যাপার্টমেন্টের দরজা ভেঙে ঢুকে একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করছে। পুলিশের দাবি, ২৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি চক্রটির অন্যতম প্রধান সদস্য। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ২০টির বেশি অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে— শিশু নির্যাতনমূলক কনটেন্ট রাখা ও বিতরণ, জন্তু-মানব যৌন নির্যাতনসংক্রান্ত অপরাধ (বিস্ট
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আন্তর্জাতিক শিশুনির্যাতন চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। এ অভিযানে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) পুলিশ। সোমবার (০১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, গত সপ্তাহে সিডনির বিভিন্ন স্থানে ছয়টি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে এই চারজনকে আটক করা হয়।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বয়স ২৬, ৩৯, ৪২ ও ৪৬ বছর। গত বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তে স্ট্রাইক ফোর্স কনস্টানটাইন নামে সিডনিভিত্তিক একটি পেডোফাইল নেটওয়ার্কের সন্ধান পেয়েছে। গোষ্ঠীটি ‘আচার-অনুষ্ঠানভিত্তিক ও শয়তানপূজার থিমযুক্ত’ শিশু নির্যাতনের ভিডিও ও ছবি আন্তর্জাতিক একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিত।
পুলিশ প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা একটি অ্যাপার্টমেন্টের দরজা ভেঙে ঢুকে একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করছে। পুলিশের দাবি, ২৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি চক্রটির অন্যতম প্রধান সদস্য।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ২০টির বেশি অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে— শিশু নির্যাতনমূলক কনটেন্ট রাখা ও বিতরণ, জন্তু-মানব যৌন নির্যাতনসংক্রান্ত অপরাধ (বিস্টিয়ালিটি), মাদক রাখা, আইনগত রিপোর্টিং বাধ্যবাধকতা না মানা এবং নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা। চারজনেরই জামিন আবেদন আদালত নাকচ করেছেন।
পুলিশ সুপার জেইন ডোহার্টি জানান, উদ্ধার হওয়া ভিডিওগুলোতে ১২ বছর বয়সী শিশু থেকে শুরু করে নবজাতক পর্যন্ত ভয়াবহ নির্যাতনের দৃশ্য রয়েছে। যেসব কথোপকথন ও ভিডিও তারা ভাগাভাগি করছিল, তার প্রকৃতির কারণে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম যে এসব লোকজন বাস্তবে কোনো শিশুর সংস্পর্শে এলে বিপদ হতে পারে।
ডোহার্টি জানান, এ পর্যন্ত যে ভিডিও পাওয়া গেছে সেগুলো অভিযুক্তদের দ্বারা ধারণ করা হয়েছে— এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে ভুক্তভোগী শিশুদের শনাক্তের কাজ চলছে।
What's Your Reaction?