শরীয়তপুরে সড়কের জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান

3 months ago 50
শরীয়তপুর শহরের প্রধান সড়কের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করছে সড়ক বিভাগ ও জেলা প্রশাসন।  সোমবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১৫টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।  জেলা সড়ক বিভাগ জানায়, শহরের ধানুকা হতে পালং উত্তর বাজার পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটি ৬০ থেকে ৭০ ফুট প্রশস্ত জমি অধিগ্রহণ করে ২৪ ফুট সড়ক নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে অধিগ্রহণ করা বাকি জমির দখল হয়ে গেছে অন্তত ৮৭ শতাংশ। সড়কের পাশের এসব জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অন্তত ১৪৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।  এ কারণে চলাচলের জায়গা দখল হওয়ায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পথচারীরা। দখলের তালিকা তৈরি করে একাধিকবার দখলদারদের সরে যেতে সড়ক বিভাগ থেকে নোটিশ দেওয়া হলেও তারা সরে যায়নি। পরে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে সোমবার সকাল থেকে ধানুকা স্টেডিয়াম এলাকা থেকে কোর্টের মোড় এলাকার অন্তত ১৫টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয় জেলার সড়ক বিভাগ। স্থানীয় বাসিন্দা হৃদয় মোল্লা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় আমাদের হাঁটাচলার কোনো জায়গা ছিল না। সড়ক দিয়ে যাতায়াত করার অনেক সময় দুর্ঘটনা শিকার হতাম। সড়ক বিভাগ ও জেলা প্রশাসনে এমন উদ্যোগে আমরা খুশি। তবে একটাই দাবি, দ্রুত সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দিয়ে পথচারীতে হাঁটাচলার একটি রাস্তা করে দিক।  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো তৈরি করা হয়েছিল। সড়ক বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে যেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে আমরা সাধুবাদ জানাই। অতি দ্রুত সড়কের জায়গা ফিরিয়ে এনে ডিভাইডার বসিয়ে দুই লেনের সড়ক নির্মাণ ও শহরবাসীর জন্য ফুটপাত তৈরি করার জোর দাবি জানাই।  শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান রাসেল বলেন, আজকে আমরা ১৫টি অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি। ১৪৬টি অবৈধ স্থাপনার সবগুলোই পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। কিছু জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, সেগুলো নিষ্পত্তি শেষে সেগুলোও ফিরিয়ে আনা হবে। উচ্ছেদ শেষে এ জায়গাগুলো যাতে পুনরায় দখল না হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালাহউদ্দিন আইয়ূবী কালবেলাকে বলেন, সড়ক বিভাগের জায়গা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় আমরা জেলা প্রশাসন থেকে তাদের সহযোগিতা করছি। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে সরিয়ে ফেলা হবে। আমরা সব সময় তাদের আইনিভাবে সহযোগিতা করব।
Read Entire Article