শহীদ পরিবারের মাঝে রমজানের উপহার পাঠালেন কায়কোবাদ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মুরাদনগরের শহীদ সাতজনের পরিবারের মাঝে রমজানের উপহার পাঠালেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।
শনিবার (১ মার্চ) শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রমজানের উপহার পৌঁছে দেন শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের ভাতিজা কাজী শাহ আবু ফারাহ মোহাম্মদ জায়িফ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি চৌধুরী রকিবুল হক শিপন, মুরাদনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব সৈয়দ হাসান আহমেদ, যুবদল নেতা মাসুম মুন্সি, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফয়েজুল ইসলামসহ স্থানীয় ও উপজেলা নেতারা।
রমজানের উপহার পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন শহীদ ইমনের মা রেহেনা বেগম। তিনি বলেন, আমার ছেলে শহীদ হওয়ার পর সাবেক এমপি কায়কোবাদ দাদা আমারে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। বসত ঘর, টিউবওয়েল, টয়লেট এমনকি রান্নাঘরও করে দিয়েছেন।
শহীদ সাব্বিরের মা বলেন, কায়কোবাদ দাদা ছাড়া আমাদের কেউ খোঁজও রাখে না। রোজা শুরুর আগেই কায়কোবাদ দাদা ভাইয়ের পক্ষ থেকে রমজানের উপহার পেলাম। এর আগে আমার ছেলে যখন আহত ছিল তিনি চিকিৎসা করিয়েছেন। শহীদ হওয়ার পর দাফন কাফনের ব্যবস্থা করিয়েছেন। ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। বসত ঘর, টয়লেট, টিউবওয়েলও করে দিছেন। আল্লাহ দাদারে ভালো রাখুক।
কায়কোবাদের ভাতিজা কাজী শাহ আবু ফারাহ মোহাম্মদ জায়িফ শহীদ পরিবারের উদ্দেশে বলেন, আপনার শহীদ সন্তানের পক্ষ থেকে এ উপহারটুকু গ্রহণ করুন। প্রথম রমজানেই এ খেজুর দিয়ে ইফতার করবেন। আমার বড় বাবা (কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ) বলেছেন, আপনাদের যে কোনো প্রয়োজনে আমাদের জানালে আমরা খুব খুশি হবো। আল্লাহর রহমতে আমার বড় বাবা শুরু থেকেই শহীদ পরিবারের পাশে ছিলেন। শহীদ পরিবারদের আর্থিক সহযোগিতা, বসত ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। পবিত্র রমজান উপলক্ষে তাদের জন্য আমাদের মাধ্যমে উপহার পাঠিয়েছেন। আমরা শহীদদের জন্য দোয়া করি এবং সব সময় তাদের পরিবারের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।