রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরশায়িত হলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে সমাহিত করা হয়। এ সময় তার ছেলে মুয়াজ আরিফসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
মুয়াজ আরিফ বলেন, আমরা এক ভাই, এক বোন। ছোট থেকেই কোর্টের একটা আবহে বড় হয়েছি। বাবার কাছে আমাদের কোনও প্রয়োজন থাকলে কেবল শনিবার বলতে পারতাম। বাবাকে কাছে পেতে শুরু করেছি যখন আমি তার সঙ্গে চেম্বারে কাজ করা শুরু করি। তিনি সবসময় কোর্টে ও চেম্বারেই ব্যস্ত থাকতেন। আইনজীবী হিসেবে তিনি কেমন তা দেশের সবাই জানেন। বাবা সবসময় আমাদের খেয়াল রাখতেন। আমি বিশ্বাস করি, রেখে যাওয়া কর্মে দেশ সবসময়ই উপকৃত হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন– শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানী ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান উপদেষ্টা হাসান আরিফ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৩ বছর।
১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন এ এফ এম হাসান আরিফ। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কলকাতা থেকে তার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনে তিনি ১৯৬৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন।
তিনি বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল। ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এ পদে ছিলেন তিনি। ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ, নির্মাণ সালিশ, বাণিজ্যিক সালিশ, অর্থ, ব্যাংকিং এবং সিকিউরিটিজ বিষয়, করপোরেট, বাণিজ্যিক ও ট্যাক্সেশন বিষয়, সাংবিধানিক আইন বিষয়, আরবিট্রেশন এবং বিকল্প বিরোধ সমাধানের অন্যান্য পদ্ধতি নিয়ে কাজ করেছেন।