শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রদ্ধা নিবেদন

19 hours ago 7

অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় সংগঠনটির নেতারা।

এ সময় সংগঠনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। 

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, আমাদের মায়ের ভাষা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সেজন্য আমাদের বায়ান্নতে সংগ্রাম করতে হয়েছে।

এর আগে, অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ভাষাশহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি কিছুসময় নীরবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।

এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও অন্য বিচাররকরা। প্রধান বিচারপতির পর একসঙ্গে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা। তারা শহীদ বেদী ত্যাগ করলে বাংলাদেশে নিয়োজিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কুটনৈতিক মিশনের সদস্যরা ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।

একসঙ্গে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন তিন বাহিনী প্রধান। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে অন্য কমিশনাররা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর ফুলেল শ্রদ্ধা জানান, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, আনসার মহাপরিচালক, ডিজিএফআই মহাপরিচালক, বিজিবি মহাপরিচালক, র‌্যাব মহাপরিচালক, এনএসআই মহাপরিচালক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও অমর একুশে উদযাপন কমিটির সদস্যরা শহীদ বেদীতে ফুল দেন।

রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওই এলাকা ত্যাগ করলে সর্বস্তরের জনগণের জন্য শহীদ মিনার খুলে দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও সাধারণ মানুষ পুষ্পার্ঘ অর্পনের মাধ্যমে ভাষাশহীদদের স্মরণ করেন।

Read Entire Article