শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত রাজবাড়ীর শামীম রেজার দাফন সম্পন্ন

সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় নিহত সেনা সদস্য রাজবাড়ীর কালুখালীর শামীম রেজা ওরফে শামীম ফকিরের মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় কালুখালী মৃগীর বড় কলকলিয়ায় নিহত পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে তাকে গার্ড অব অনার ও রাষ্ট্রীয় সালামসহ যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। নিহত শামীম রেজা ওই এলাকার আলমগীর ফকিরের ছেলে। তিনি সৈনিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুপুর পৌনে ২টার দিকে রাজবাড়ী কালুখালীর মিনি স্টেডিয়াম মাঠে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে তার মরদেহ আনা হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামে। নিহত শামীমকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় করেন স্বজন-বন্ধুসহ প্রতিবেশীরা। এসময় পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদান করেন শামীম রেজা। চলতি বছরের ৭ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে যান। সেখানে দায়িত্ব পালনকালে ১৩ ডিসেম্বর বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র গো

শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত রাজবাড়ীর শামীম রেজার দাফন সম্পন্ন

সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় নিহত সেনা সদস্য রাজবাড়ীর কালুখালীর শামীম রেজা ওরফে শামীম ফকিরের মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় কালুখালী মৃগীর বড় কলকলিয়ায় নিহত পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে তাকে গার্ড অব অনার ও রাষ্ট্রীয় সালামসহ যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

নিহত শামীম রেজা ওই এলাকার আলমগীর ফকিরের ছেলে। তিনি সৈনিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

দুপুর পৌনে ২টার দিকে রাজবাড়ী কালুখালীর মিনি স্টেডিয়াম মাঠে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে তার মরদেহ আনা হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামে। নিহত শামীমকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় করেন স্বজন-বন্ধুসহ প্রতিবেশীরা। এসময় পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদান করেন শামীম রেজা। চলতি বছরের ৭ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে যান। সেখানে দায়িত্ব পালনকালে ১৩ ডিসেম্বর বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় তিনিসহ ৬ জন নিহত হন। পরিবারের তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়।

শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত রাজবাড়ীর শামীম রেজার দাফন সম্পন্ন

নিহত শামীম রেজার বাবা আলম ফকির জানাজার নামাজে আগে বলেন, ‘আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম, আমার একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে আর নেই। কি নিয়ে বাঁচবো? আমি আমার বাবাকে বলেছিলাম তুমি কোনো অন্যায় করবে না। আমি যেন তোমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না শুনি, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ না শুনলেও আজ তাকে খুন হতে হলো। আল্লাহ তাদের বিচার করবে।’

কালুখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামস শাদাত মাহমুদ উল্লাহ বলেন, ‘সৈনিক শামীম রেজার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি। উপজেলা প্রশাসন তার পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। কবরস্থানে যাওয়ার রাস্তার নাম বীর সৈনিক শামীম রেজার নামে নামকরণের দাবি উঠেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানো হবে এবং নামকরণ বাস্তবায়নে চেষ্টা করবো।’

রুবেলুর রহমান/এমএন/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow