শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
রোববার (১৭ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারে কেমন হবে আগামীর বাংলাদেশ এবং শাহবাগকে কেন্দ্র করে বিগত বছরগুলোতে কীভাবে দেশ ও দেশের মানুষের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হতো সেই নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ছিল বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত আমাদের দেশে কালচারাল এগ্রেশন চালনো শুরু করে। বাংলাদেশে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠার মূলে ছিল বাংলাদেশের মিডিয়া এবং সাংস্কৃতিক জগৎ। বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসন কিংবা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার মূলে যে দুটি এজেন্ডা ছিল তার প্রথমটি হলো বাঙালির জাতীয়তাবাদ এর বয়ান এবং দ্বিতীয়টি হলো ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা। বাঙালির জাতীয়তাবাদের নামে এতদিন আওয়ামী রাজনীতিক ও ভারতপন্থিরা যে বয়ান আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতো তা তৈরি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাজা রামমোহন রায়। যা মূলত হিন্দু জাতীয়তাবাদের বয়ান ছিল। যেখানে মুসলিমদের কোনো জায়গা ছিলো না।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে ভারত নিজেদের জিওপলিটিক্যাল সুবিধার জন্য বাংলাদেশকে সাহায্য করেছিল কোনো দয়া কিংবা সহানুভূতি দেখানোর জন্য নয়। এ সহায়তাকে তিনি একটি বিসনেস ট্রান্সাকশন হিসাবে আখায়িত করেন। শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাংলাদেশ কোনো বৈধ চুক্তি ছাড়াই ভারতের একটি উপনিবেশে পরিণত হয়েছিল। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল ভারত যা দেখা যায় ২০১৪, ২০১৯ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে। ২৪ এর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের বাঙালি মুসলিমদের জন্য একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে দেশটাকে নিজেদের মতো করে গুছিয়ে নেওয়ার এবং বাঙালি মুসলিদের বিরুদ্ধে করা সব চক্রান্ত প্রতিহত করার।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চেয়ারম্যান রইছ উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মেজবাহ-উল-আজম সওদাগর।
আরএএস/এমআইএইচএস/এমএস