দেশে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নামমাত্র মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা (আইকিউ টেস্ট) নেওয়া হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনো সাইকোমেট্রিক পরীক্ষার নিজস্ব টুলস তৈরি হয়নি। জনসংখ্যার দিক থেকে অগ্রগামী হলেও এখানে আইকিউ পরীক্ষার নিজস্ব কোনো টুলস নেই। চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত সেকেন্ড ইন্টারন্যাশনালে সাইকোমেট্রিক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, দেশে বাস্তব কাজ করার মতো নিজস্ব কোনো সাইকোমেট্রিকস টেস্ট নেই। ফলে বিদেশের তৈরি নানা টুলস দিয়ে আমাদের কাজ চালাতে হয়। কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ের সাংস্কৃতিক ভিন্নতা অনেক বেশি।
তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব পরীক্ষা পদ্ধতি তৈরি করা উচিত। এতে আমরা সহজেই এসব টেস্টে প্রয়োগ করতে পারবো এবং তা অধিকতর নির্ভরযোগ্য হবে।
কনফারেন্সে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারের উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাহমুদুর রহমান বলেন, আমাদের মনস্তাত্ত্বিক বৈকল্যের কারণে কিশোর গ্যাং, মাদক গ্রহণসহ নানা ঘটনা ঘটছে। আমরা নানা জায়গায় সংস্কারের কথা বলছি। কিন্তু কীভাবে আমরা একটি সুস্থ স্বাভাবিক জীবন পেতে পারি, তারও সংস্কার হওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমরা সবাইকে একটা অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতায় ফেলে দেই। তা না করে যদি কার কাজ করার আগ্রহ আছে, কতটা ভালো; কেমন দেশপ্রেম আছে—এসব বিবেচনায় মানুষ নির্বাচন করি, তাহলে আরও সমাজ ও রাষ্ট্র স্বাস্থ্যকর হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ বশীরের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তানভীর ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভাগের অধ্যাপক আহসান হাবিবসহ প্রমুখ।
এএএইচ/ইএ