শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে চট্টগ্রামের সরকারি স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী স্কুলের কার্যক্রমে যোগদান করেননি চট্টগ্রামের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এতে করে থেমে গেছে ১৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চলমান বার্ষিক পরীক্ষা।  সোমবার (১ ডিসেম্বর) এসব স্কুলে কোনো পরীক্ষাই অনুষ্ঠিত হয়নি। মাঝপথে হঠাৎ পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ভুগছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।  চট্টগ্রামে মোট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৩টি৷ এর মধ্যে মহানগরীতে ৯টি, সন্দ্বীপে ২টি এবং সীতাকুণ্ড ও পটিয়ায় একটি করে রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে ২০ নভেম্বর থেকে বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. তায়সীর উদ্দীন বলেন, মাঝপথে হঠাৎ পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। এভাবে মাঝপথে পরীক্ষা বন্ধ করার কোনো মানেই হয় না। অতিদ্রুত বিষয়টি মীমাংসা করা উচিত। বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন রাজু কালবেলাকে বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী আজ কোনো শিক্ষক কাজে যোগ দেননি। তাই কোনো সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, দাবি নিয়ে সরক

শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে চট্টগ্রামের সরকারি স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী স্কুলের কার্যক্রমে যোগদান করেননি চট্টগ্রামের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এতে করে থেমে গেছে ১৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চলমান বার্ষিক পরীক্ষা। 

সোমবার (১ ডিসেম্বর) এসব স্কুলে কোনো পরীক্ষাই অনুষ্ঠিত হয়নি। মাঝপথে হঠাৎ পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ভুগছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। 

চট্টগ্রামে মোট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৩টি৷ এর মধ্যে মহানগরীতে ৯টি, সন্দ্বীপে ২টি এবং সীতাকুণ্ড ও পটিয়ায় একটি করে রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে ২০ নভেম্বর থেকে বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল।

সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. তায়সীর উদ্দীন বলেন, মাঝপথে হঠাৎ পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। এভাবে মাঝপথে পরীক্ষা বন্ধ করার কোনো মানেই হয় না। অতিদ্রুত বিষয়টি মীমাংসা করা উচিত।

বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন রাজু কালবেলাকে বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী আজ কোনো শিক্ষক কাজে যোগ দেননি। তাই কোনো সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, দাবি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় পরীক্ষার আগের দিনই স্কুলগুলোকে স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। ফলে কোনো শিক্ষার্থী স্কুলে এসে ফিরে যেতে হয়নি।

আফসার উদ্দিন রাজু বলেন, এটা আমাদের ন্যায্য পাওনা। মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের পাওনা দিতে গড়িমসি করছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow