শিক্ষা অফিসারকে রুমে রেখে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

3 weeks ago 9

অসদাচরণ ও হুমকির প্রতিবাদে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেনকে তার কক্ষের ভেতর রেখেই তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার সাতটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনালের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর শিক্ষা অফিসারের অফিস কক্ষের তালা খুলে দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়ার যুগ্ম-আহ্বায়ক বায়েজিদ খান হিমু।

এর আগে বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলামের গাড়ি আটকে দিয়ে শহরের গোডাউন মোড় এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করে। অবরোধ করে রাখে ভেড়ামারা-দৌলতপুর মহাসড়ক। এসময় শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উপজেলায় ভোকেশনাল প্রায় ৯০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৬০ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছিল তারা। এতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক আহমেদ তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে আইনগত ব্যবস্থাসহ দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

তারা আরও জানায়, শিক্ষা অফিসার ফারুক আহমেদ দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ভেড়ামারায় আছেন। এটা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর তার ১০ নম্বর থ্রেট (হুমকি)। তারা শিক্ষা অফিসারের বক্তব্যে ভীত হয়ে একসঙ্গে জড়ো হয়ে তার এ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি তোলে।

কুষ্টিয়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক বায়েজিদ খান হিমু বলেন, শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন শিক্ষার্থীদেরসহ তাদের বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দিয়ে তাদের জীবন ধ্বংস করার হুমকিও দিয়েছেন। এ অবস্থায় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে শিক্ষা অফিসারকে রুমে আটকে রেখেই তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে তিনি ক্ষমা চান এবং দুঃখ প্রকাশ করেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক আহমেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেছি, তোমরা ঘরে ফিরে যাও, না গেলে তোমাদের সমস্যা হবে।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা অফিসারকে কক্ষে রেখেই তালা মেরে দেয়। পরে সমঝোতার ভিত্তিতে তালা খুলে দেওয়া হয়।

আল-মামুন সাগর/এসআর/এমএস

Read Entire Article