শিক্ষার্থীদের গালি দেওয়ার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

4 hours ago 5


বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) প্রশাসনের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনা ঘটে। রোববার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

এ সময় ৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ হওয়া কিছু শিক্ষক বের হওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের সাথে বাজে আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাহমুদুর রহমান তুষার লিখেছেন, আমাদের কিছু স্যার তালা খুলে গেট থেকে বের হয়েই বললেন— “শুয়োরের বাচ্চা, কই তোরা?” একটা মেয়েকেও চড় মারা হলো।

তিনি আরও লিখেন, ঠিক যখন অডিটোরিয়ামের সামনে দুটা ককটেল ফুটাল বহিরাগতরা। আমি তখন ফ্রন্ট গেটের সামনে। মেয়েদের বললাম হেলথ কেয়ারে দৌড় দাও। ঠিক সে সময়ে একটা দা’এর কোপ আমার কানের পাশ দিয়ে গেল। কেমন করে বাঁচলাম জানি না, কীভাবে বাঁচলাম তাও জানি না ৷

জানা যায়, হামলার ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হল থেকে একত্রিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে ক্যাম্পাসে স্লোগান ও বিক্ষোভ করতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা পরে প্রশাসনিক বিভিন্ন ভবন ভাঙচুর চালায়। এর আগে বহিরাগতরাও ভাঙচুর চালায় লাইব্রেরি ও অডিটোরিয়াম। ক্যাম্পাসে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে রোববার জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পশুপালন, ভেটেরিনারি ও কম্বাইন্ড -এই তিনটি ডিগ্রি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে তালা দেন আন্দোলনকারীরা। এতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়াসহ সভায় উপস্থিত বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকরা ভেতরে আবদ্ধ হয়ে পড়েন। ৭ ঘণ্টার বেশি সময় শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আটকে রাখা হয়।

Read Entire Article