তিন দফা দাবি আদায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করছেন। শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে এ মহাসমাবেশ শুরু হয়। এতে কয়েক হাজার শিক্ষক অংশ নিয়েছেন।
কুমিল্লা থেকে মহাসমাবেশে এসেছেন হোসনে আরা মায়া। চৌদ্দগ্রামের সুরিকড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তিনি। মহাসমাবেশে তার সঙ্গে এসেছে ৯ ও ১১ বছর বয়সী দুই ছেলে। ছোট ছেলের নাম হিমেল, বড় ছেলের নাম হাসিব। তারা দুজনই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কেন সমাবেশে এসেছো, জানতে চাইলে হিমেল-হাসিবের জবাব, ‘আম্মুর দাবি আদায়ে আমরাও সহযাত্রী হয়ে এখানে এসেছি।’
হোসনে আরা মায়া বলেন, আমরা ১৩তম গ্রেডে চাকরি করছি। যে বেতন পাই, তা দিয়ে সন্তানদের উন্নত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে পারি না। সরকারের কাছে অনুরোধ, দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক। জাতি গড়ার কারিগরদের এভাবে রাস্তায় দাবি আদায়ের জন্য নামানো লজ্জার।
- আরও পড়ুন
- তিন দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের মহাসমাবেশ
- নুরের চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন, ভেঙে গেছে চোয়ালের হাড়
প্রাথমিক শিক্ষকদের ছয়টি পৃথক সংগঠনের মোর্চা ‘সহকরী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ শহীদ মিনারের এ মহাসমাবেশ আয়োজন করেছে। মহাসমাবেশে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে শিক্ষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা জানাচ্ছেন।
শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে এন্ট্রি পদ সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা দেওয়া, শতভাগ শিক্ষককে পদোন্নতি এবং ১০ ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন।
ঐক্য পরিষদের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ জাগো নিউজকে বলেন, আজকের মধ্যে স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি না পেলে আমরা সমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌনে ৪ লাখেরও বেশি শিক্ষক কর্মরত। তাদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের বর্তমান বেতন গ্রেড দশম। এছাড়া সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম।
এএএইচ/কেএসআর/এএসএম