শিগগিরই ‘জাতীয় সনদ’ তৈরি করতে চাই ঐকমত্য কমিশন

3 hours ago 5

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্রুত আলোচনা শুরু করতে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছে একটি ‘জাতীয় সনদ’ তৈরি করতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। 

সোমবার (১০ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে গঠন করা হয় ৬টি সংস্কার কমিশন। এসব কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশ ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনসহ ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে এসব সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও জোটেগুলোর মতামত জানাতে হবে। তারপর সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। এরপর সবাই ঐকমত্যে পৌঁছে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা হবে।

আলী রীয়াজ বলেন, যখন যে দলের মতামত পাওয়া যাবে, সে সময় থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে। আশা করছি, আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত জানাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন থাকলে তারা কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। কমিশন এ বিষয়ে সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।

সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানোর কথা জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, সুপারিশগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত ৭০টি, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার সংক্রান্ত ২৭টি, জনপ্রশাসন সংক্রান্ত ২৬টি, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত ২৩টি ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংক্রান্ত ২০টি সুপারিশ ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশ সংস্কার কমিশন মনে করে, তাদের সুপারিশগুলো প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এ সহসভাপতি আরও বলেন, প্রতিটি সুপারিশের ক্ষেত্রে আমরা দুইটি বিষয়ে মতামত চেয়েছি। প্রথমটি হলো সংশ্লিষ্ট সুপারিশের বিষয়ে একমত কি না। এতে তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো- ‘একমত’, ‘একমত নই’ এবং ‘আংশিকভাবে একমত’। এ তিনটি বিকল্পের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায়ের বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে ছয়টি বিকল্প আছে। সেগুলো হলো ‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’; ‘নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে’; ‘নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে’; ‘গণপরিষদের মাধ্যমে’; ‘নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে’ এবং ‘গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে’।

এসব ঘরের যেকোনো একটি ঘরে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে বলা হয়েছে। এর বাইরে প্রতিটি সুপারিশের পাশে দলগুলোর ‘মন্তব্য’ দেওয়ার জন্য একটি জায়গাও রাখা হয়েছে।

ড. আলী রীয়াজ আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ব্যাপারে নাগরিকদের মতামত জানার ব্যবস্থা করা হবে।

Read Entire Article