শিবচতুর্দশী মেলায় পদদলিত হয়ে ৩ পুণ্যার্থীর মৃত্যু

3 hours ago 5
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিবচতুর্দশী মেলার দ্বিতীয় দিনে চন্দ্রনাথধামে ওঠার সময় পদদলিত হয়ে তিন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে।  বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে পৃথক সময়ে প্রচণ্ড ভিড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতদের মধ্যে একজন পুরুষ ও দুজন নারী। নিহতদের মধ্যে বান্টু লাল দাশের (৫৫) গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ার ফাঁসিয়া খালি এলাকায়। তিনি মৃত মাগন দাসের ছেলে। নিহত দুই নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তাদের একজনের বয়স আনুমানিক ৪৫, অন্যজনের ১৮।  তথ্যটি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম।  ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টা ১১ মিনিট ২৫ সেকেন্ডে শুরু হয়ে তিথি থাকবে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫৯ মিনিট ৫০ সেকেন্ড পর্যন্ত। তিথি ঘিরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পুণ্যার্থীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। তিথির শুরুতে ১০ থেকে ১২ লাখ পুণ্যার্থীর সমাগমন ঘটে চন্দ্রনাথ ধামে। এতে প্রচণ্ড ভিড়ে পদদলিত হয়ে তিন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে সকাল ১০টার দিকে এক তরুণী পদদলিত হয়ে মারা যান। তার মৃতদেহ আত্মীয়-স্বজনরা নিয়ে গেছেন। দুপুর ১টায় বান্টু লাল দাস ও অজ্ঞাত আরেক নারীর পদদলিত হয়ে মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করেন। নিহত বান্টু দাসের স্ত্রী লক্ষ্মী বলেন, প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে আমার স্বামী পদদলিত হয়ে মারা যান। সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে তিনজন পুণ্যার্থী মারা যান। একজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেলেও নিহত নারীদের পরিচয় করা শনাক্ত করা যায়নি। সীতাকুণ্ড থানার ওসি মজিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ভিড়ের কারণে পদদলিত হয়ে তিন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
Read Entire Article