শিশুকে অপহরণের পর থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেন তারা

1 week ago 7

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় প্রবাসীর শিশু সন্তানকে অপহরণের ঘটনায় নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ। এ সময় অপহৃত শিশু আব্দুল্লাহ মেজবাকে (০৮) উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উদ্ধার হওয়া শিশু আব্দুল্লাহ মেজবা লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের ঘাঘা গ্রামের প্রবাসী সালাউদ্দীন মৃধার ছেলে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার ঘাঘা উত্তরপাড়া গ্রামের শহিদ শেখের ছেলে উজ্জ্বল শেখ (৩৬), বাবুল লস্করের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩৫), ভ্যানচালক যোগিয়া গ্রামের হানিফের ছেলে জান্নাতুল (২০) এবং বাবুল লস্কারের ছেলে সাকিব (১৭)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার কোটাখোল ইউনিয়নের ঘাঘা গ্রামের উজ্জল শেখ একই গ্রামের শিশু আব্দুল্লাহ মেজবাহকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন। এতে সে ভ্যানচালক জান্নাতুলকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখায় ও ৫০০ টাকা প্রদান করে, বাকি টাকা কাজ শেষে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। এ ছাড়া রোজিনা বেগম ও তার ছেলে সাকিবকে মুক্তিপণের টাকা পেলে তাদের লোনের টাকা পরিশোধ করে দিবে বলে প্রলোভন দেয়, এতে তারা রাজি হন।

গত শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশেই স্থানীয় উজ্জ্বল শেখের দোকানে যায় শিশু আব্দুল্লাহ। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে উজ্জ্বল শেখ তাকে দুটি ‘হিস্টাসিন’ ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে ফেলে। পরে ভ্যানচালক জান্নাতুল, রোজিনা বেগম ও সাকিবের সহযোগিতায় তাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করার পরিকল্পনা করে। এরপর ওই রাতেই শিশুটিকে লোহাগড়া নিরিবিলি পিকনিক স্পটের একটি কক্ষে লুকিয়ে রাখা হয়। শিশুটির পাহারার দায়িত্বে ছিল রোজিনা বেগম নামে এক নারী।

অন্যদিকে, ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য অপহরণকারী উজ্জল শেখ আব্দুল্লাহর স্বজনদের সঙ্গে লোহাগড়া থানায় গিয়ে অপহরণের অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। তবে তাদের কথাবার্তায় অসংগতির কারণে পুলিশ সন্দেহ করে তদন্ত শুরু করে। এরপর ওসি মো. শরিফুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) অজিত কুমার রায়, উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারোক বিশ্বাস, আজিজুর তালুকদার ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ পুলিশের তৎপরতায় রোববার (৩১ আগস্ট) ভোরে নিরিবিলি পিকনিক স্পট থেকে অক্ষত অবস্থায় শিশু আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করা হয় এবং নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, শিশু অপহরণের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে অক্ষত অবস্থায় ওই শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেপ্তার চারজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণের কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Read Entire Article