শিশুকে ধর্ষণ-হত্যা, আ.লীগ নেত্রীর বাড়িতে মিলল মরদেহ 

2 months ago 51

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পলাতক এক আওয়ামী লীগ নেত্রীর সেপটিক ট্যাংক থেকে লামিয়া খাতুন নামের এক ছয় বছরের শিশুর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

বুধবার (৪ জুন) ভোরে উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বিন্নাদাইর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপা খাতুনের পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় পরিত্যক্ত বাড়ির কক্ষ থেকে বিভিন্ন নেশার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। 

নিহত শিশু লামিয়া উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের শ্রীফলতলা গ্রামের গার্মেন্টস কর্মী নাজিমের কন্যা। বাবা-মা ঢাকায় গার্মেন্টেসে কাজ করায় লামিয়া বিন্নাদাইর গ্রামে নানা আব্দুর রশিদের কাছে থাকত। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লামিয়া নানা আব্দুর রশিদের বাড়িতে থাকত। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল থেকে সে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে রাত ৮টার দিকে থানায় জিডি করেন আব্দুর রশিদ। শিশুটিকে উদ্ধারে রাতেই অভিযান চালায় পুলিশ। ভোর ৪টার দিকে রূপা খাতুনের পরিত্যক্ত বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে শিশুটির হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এলাকাবাসী জানায়, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপা পালিয়ে যায়। এরপর থেকে তার বাড়িটি সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত হয়ে যায়। পরিত্যক্ত ওই বাড়িটি মাদকাসক্তদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। 

শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আছলাম আলী বলেন, রাতে শিশুটির নানা থানায় জিডি করে। এরপর থেকেই পুলিশ অভিযান শুরু করে। ভোর রাতে রূপা খাতুনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মুখ টেপ দিয়ে আটকানো ও হাত-পা বাঁধা ছিল। 

তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে ধর্ষণের পর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Read Entire Article