শিশুকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষককেও’ পিটিয়ে মারলেন এলাকাবাসী

2 weeks ago 20

ফরিদপুরে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষককে পিটিয়ে মেরেছে এলাকাবাসী।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চর নশিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

এর আগে পুলিশ গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় আটক করে ধর্ষক শাহিন ওরফে হায়দার মোল্লাকে (৫৫)। নিহতদের দুজনের বাড়ি একই এলাকায়। 

ধর্ষণের শিকার শিশু চর নশিপুর গ্রামের জিয়া মোল্লার মেয়ে। সে সরকারি চর নশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, গণপিটুনিতে মারা গেছে হায়দার মোল্লা। হায়দার মোল্লা চর নশিপুর গ্রামের জহিরউদ্দিন মোল্লার ছেলে। পুলিশ গণপিটুনি দেওয়া জনতাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।

এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিশুটি মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল। পরে পরিবারের স্বজনরা এবং স্থানীয় গ্রামবাসী মিলে শিশুটিকে খুঁজতে বের হয়। একপর্যায়ে তাকে না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় রাতেই একটি জিডি করে। পরে পুলিশ তাৎক্ষণিক জিয়া মোল্লার বাড়িতে যায় এবং বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে। 

বুধবার সকালে শিশুটির বাড়িতে গিয়ে হায়দার মোল্লার সঙ্গে কথা হলে তাকে সন্দেহ করে পুলিশ। এ সময় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ও পুলিশের উপস্থিতিতে হায়দারকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি শিশুটিকে হত্যা করেছে বলে জানান। বুধবার বিকেলে তার কথামতে শিশুটির বাড়ির পাশে হায়দার মোল্লার ঘরের মধ্যে শিশুটির মরদেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় পাওয়া যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। লাশের শরীরে ধর্ষণের আলামত দেখা গেছে। হায়দার এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে দীর্ঘদিন জেল খেটেছিল।  

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান কালবেলাকে বলেন, হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা তা মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Read Entire Article