শিশুকে যৌন নির্যাতনের দায়ে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর গ্রেফতার হয়েছেন জুয়েল রানা।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। জুয়েল রানা ওই উপজেলার সম্ভুদিয়া ইউনিয়নের চর-সলিমাবাদ গ্রামের আব্দুল খালেক ঝুনু ফকিরের ছেলে।
র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, চৌহালী থানায় তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের একটি মামলা রয়েছে। এ মামলায় সিরাজগঞ্জ শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে ১৪ জানুয়ারি জুয়েল রানাকে পদ থেকে বহিষ্কার করে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশের সই করা পত্রে বলা হয়- দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করায় চৌহালী উপজেলা বিএনপির সুপারিশ অনুযায়ী আপনাকে (জুয়েল রানা) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
১১ জানুয়ারি রাতে জুয়েল রানার বিরুদ্ধে শিশু বলাৎকারের অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম সই করা এক পত্রে তাকে শোকজ করা হয়।
তাতে বলা হয়- জুয়েল রানার বিরুদ্ধে শিশু বলাৎকারের অভিযোগ উঠছে। যা শনিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হয়েছে। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে কারণ দর্শাতে ব্যর্থ হলে জুয়েল রানার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ভুক্তভোগী শিশুর বাবা ১৩ জানুয়ারি একটি মামলা করেছিলেন। এই মামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন জুয়েল রানা। র্যাব তাকে গ্রেফতার করে থানায় প্রেরণ করেছিল। আমরা তাকে আদালতে পাঠিয়েছি।
এম এ মালেক/জেডএইচ/