চা-কফির কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই সকাল হয় না কিংবা দিন কাটে না। সারাদিনে সব মিলিয়ে ৩-৪বার এমনকি এরও অধিকবার চা-কফি পান করেন অনেকেই। আর এ অভ্যাস আরও বেড়ে যায় শীতে।
শীতকালে শরীর একটু বেশিই উষ্ণতা খোঁজে। এ সময় গরম গরম কিছু খেলেই যেন মনে শান্তি পাওয়া যায়। তাই শীতে চা-কফির কদর অনেকটাই বেড়ে যায়। তবে এ সময় শরীরের জন্য এই দুটির মধ্যে কোনটি ভালো, তা কি জানেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ঠান্ডায় চা পানের উপকারিতা
>> শীতে চা পান করলে শরীর ভেতর থেকে গরম থাকে।
>> তবে এই মৌসুমে আদা, তুলসিপাতা, গোলমরিচ ও লবঙ্গ দিয়ে চা পান করতে পারেন। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয়।
>> চায়ে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মতো উপাদান পাওয়া যায়, যা শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। একই সঙ্গে ঠান্ডায় রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়।
>> শীতকালে মসলা চা বা আদা চা পান করলে সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথা থেকে সহজেই মুক্তি মেলে। এছাড়া ভেষজ ও গ্রিন টি হজমের উন্নতি করার সঙ্গেই শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন
ঠান্ডায় কফি পানের উপকারিতা
>> কফিতে থাকা ক্যাফেইন সতেজ ও উদ্যমী অনুভব করতে সাহায্য করে। এটি শীতের অলসতা কমাতে পারে। শীতে কফি পান করলে শরীরের মেটাবলিজম বেড়ে যায়, যা ঠান্ডায় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
>> এছাড়া কফি মনোযোগ ও একাগ্রতা বাড়াতেও সহায়ক। কফি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টেরও ভালো উৎস। তাই শীতকালে কফি পান করলে তা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
তাহলে এ দুটির মধ্যে কোনটি বেশি ভালো?
আপনি যদি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে চান, সঙ্গে শীতকালে হওয়া সাধারণ রোগগুলো এড়াতে চান, তাহলে ভেষজ চা পান করা উপকারী হতে পারে। অন্যদিকে আপনার যদি শক্তির প্রয়োজন হয় ও কাজের ক্লান্তি এড়াতে চান তাহলে কফি পান করলে উপকৃত হবেন।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
জেএমএস/এমএস