আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে অনেক নারীরা চুলার জ্বালানি হিসেবে শুকনো গোবর বা গোবরের প্রলেপ দেওয়া খড়ি ব্যবহার করেন। গোবর যেহেতু অপবিত্র, তাই অনেকে রান্নার জ্বালানি হিসেবে এভাবে গোবর ব্যবহার করা নিষিদ্ধ মনে করেন এবং গোবর পোড়ানো আগুনে রান্না করা খাবার খেতে চান না।
ইসলামি শরিয়তে রান্নার আগুনের জ্বালানি হিসেবে গোবর ব্যবহার করা জায়েজ এবং গোবর পোড়ানো আগুনে রান্না করা খাবারও হালাল। গোবর পুড়িয়ে রান্না করার কারণে খাবার নাপাক হয় না এবং হারাম হওয়ারও কোনো কারণ নেই।
গোবর বেচাকেনা করা যাবে?
গোবর অপবিত্র হলেও যেহেতু এর ব্যবহারের বৈধ ক্ষেত্র রয়েছে যেমন, জ্বালানী কাজে ও মাটির সার হিসেবে তা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাই গোবর বেচাকেনা করা জায়েজ।
গোবর দিয়ে ঘর লেপা ঘর কি অপবিত্র?
কোনো ঘরের মেঝে বা উঠান গোবর দিয়ে লেপা হলে শুকিয়ে যাওয়ার পর তা আর অপবিত্র থাকে না। এ রকম উঠান বা মেঝেতে নামাজ পড়া যাবে। তবে উত্তম হলো, জায়নামাজ বা এ রকম পবিত্র কোনো কিছু বিছিয়ে নামাজ পড়া।
গোবর দিয়ে লেপা উঠান বা মেঝেতে ভেজা পা লাগলে সাধারণত পায়ে নাপাকির চিহ্ন প্রকাশ পায় না। তাই এ রকম জায়গায় ভেজা পায়ে হাঁটলেও পা নাপাক হবে না। তবে এ রকম উঠান বা মেঝেতে পানি ঢেলে দেয়ার কারণে যদি গোবর প্রকাশ পেয়ে যায় আর সেখানে পা পড়ে এবং পায়ে নাপাকির চিহ্ন প্রকাশ পায়, তাহলে পা নাপাক হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, গোবরকে কোনো কোনো ধর্মে পবিত্রতা অর্জনের উপায় বলে বিশ্বাস করা হয় এবং এই বিশ্বাস থেকে গোবর দিয়ে উঠান ও ঘরের মেঝে লেপা হয়। এ রকম কোনো ভ্রান্ত বিশ্বাস থেকে ঘর-উঠান লেপায় গোবর ব্যবহার করা যাবে না।
ওএফএফ/এমএস