মৌসুমি ফলের বাহার এবং শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে মুখর পরিবেশে নানা জাতের টাটকা ও রসালো ফল নিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে মৌসুমি ফল উৎসব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র মিলনায়তনের (টিএসসি) দ্বিতীয় তলায় বৃহত্তর রাজশাহী ওয়েলফেয়ার স্টুডেন্ট’স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
আয়োজনের শুরুতেই জুলাই মাসের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়। এরপরেই জমে ওঠে অনুষ্ঠানের মূল আয়োজন। উৎসবে পরিবেশিত হয় রাজশাহী অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী আম, আনারস, লটকন, ড্রাগন ফল, জামরুল, পেয়ারা, কাঁঠালের মতো নানা দেশি মৌসুমি ফল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল লতিফ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আরফান আলী, টিএসসির পরিচালক ও ল্যাংগুয়েজ বিভাগের অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন, অ্যানাটমি, হিস্টোলজি ও ফিজিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মাসুম এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মোমেনুল এহসান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন বলেন, এই আয়োজন দেখে বোঝা যায়—শিক্ষার্থীরা শুধু একাডেমিক পড়াশোনাতেই সীমাবদ্ধ নয়, তারা নিজেদের সংস্কৃতি ও আঞ্চলিক পরিচয় নিয়েও গভীরভাবে ভাবছে। রাজশাহীর স্থানীয় স্বাদ ও ঐতিহ্যকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তুলে আনা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল লতিফ বলেন, এই উৎসব শুধু ফলভোজের আয়োজন নয় বরং এটি আমাদের কৃষিপণ্য ও কৃষিভিত্তিক জীবনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংযোগ ঘটানোর একটি শিক্ষাবান্ধব প্রয়াস। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের কৃষি ও মৌসুমি ফলের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারছে, যা তাদের ভবিষ্যৎ চিন্তাধারায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সাইদ আহম্মদ/এমআরএম/জিকেএস