বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটা শ্মশান বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। এ দেশকে যারা শাসন করার দায়িত্ব নেবে তাদের জন্য অনেক কঠিন হবে।’
রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কোনাবাড়ি ইছাহাক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন- বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতির ওপর একটা কমিটি করেছিল, সে কমিটি রিপোর্ট দিয়েছে। সে রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, শেখ হাসিনা লুট করে এ দেশ থেকে কত টাকা নিয়ে গেছে। সে টাকা দিয়ে ১০০টা পদ্মা সেতু বানানো যেত। এখন এই যে টাকা লুট করে নিয়ে গেছে এটা তো ঋণের টাকা। এই যে আপনারা বসে আছেন বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষের পকেট থেকে সব শোধ করতে হবে এবং ১০০ বছরেও এই ঋণ শোধ হবে না। বাংলাদেশের মানুষকে ধুঁকে ধুঁকে তা পরিশোধ করতে হবে।
টুকু বলেন, শেখ হাসিনা এই বাংলাদেশকে শ্মশান বানিয়ে ২০ কোটি মানুষকে বিপদে ফেলে, আওয়ামী লীগকে ফেলে দিল্লি চলে গেছে। এখন দিল্লিতে বসে চিন্তা করছে, দিল্লি বোধহয় আবার তাকে বাংলাদেশের মসনদে বসিয়ে দেবে। স্বপ্ন দেখাটা ভালো, কিন্তু দুঃস্বপ্ন দেখাটা ভালো না।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীকে ধ্বংস করে গেছে, প্রশাসন ধ্বংস করে গেছে, আদালতকে ধ্বংস করে গেছে- এমন একটা জায়গা নেই যে জায়গা ধ্বংস করেনি। এই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে আজকে আমরা বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের কাছে ৩১ দফা দিয়েছি। আমরা সেই ৩১ দফায় বলেছি- নির্বাচনে জয়লাভ করলে আমরা একা সরকার গঠন করব না। আমাদের সঙ্গে যারা আন্দোলন করেছে, আন্দোলনকারী যে দল ছিল সেসব দলকে নিয়ে আমরা জাতীয় সরকার গঠন করব।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদিউজ্জামান ফেরদৌসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রেজাতে রাব্বি উত্থানের সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ এবং জেলা বিএনপির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ সরকারসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হারুন-অর-রশীদ খান হাসান প্রমুখ।