শেখ হাসিনার প্রকাশ্য ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে : রাশেদ প্রধান
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণদণ্ডের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তার ‘প্রকাশ্য’ ফাঁসির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান। সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ দাবি জানান। রাশেদ প্রধান বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং অন্য দুটি অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমি মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহর দরবারে ওই রায়ে শুকরিয়া আদায় করছি। তিনি আরও বলেন, গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো নতুন কোনো ফ্যাসিস্ট যাতে তৈরি না হয়, সেই লক্ষ্যে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করা প্রয়োজন। শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ কার্যকর করতে হবে এবং প্রকাশ্য ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে। এর আগে সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ প্রয়াত শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম ওফাত দিবস উপলক্ষে জাগপা আয়োজিত আলোচনা সভায় রাশেদ প্রধান
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণদণ্ডের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তার ‘প্রকাশ্য’ ফাঁসির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ দাবি জানান।
রাশেদ প্রধান বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং অন্য দুটি অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমি মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহর দরবারে ওই রায়ে শুকরিয়া আদায় করছি।
তিনি আরও বলেন, গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো নতুন কোনো ফ্যাসিস্ট যাতে তৈরি না হয়, সেই লক্ষ্যে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করা প্রয়োজন। শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ কার্যকর করতে হবে এবং প্রকাশ্য ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে।
এর আগে সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ প্রয়াত শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম ওফাত দিবস উপলক্ষে জাগপা আয়োজিত আলোচনা সভায় রাশেদ প্রধান বলেন দূরদর্শী ভাসানী দুই পাকিস্তানের বৈষম্য মানতে না পেরে সর্বপ্রথম প্রতিবাদ করেছিলেন। স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন এবং দেশের মানুষের মধ্যে স্বপ্নের বীজ বপন করেছিলেন। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রাক্কালে শেখ মুজিবের মতো নিজের নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানে আশ্রয় নেননি। মুজিব নয়, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীই স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক আদর্শ আমাদের লালন করতে হবে। এক ফ্যাসিস্টের বিদায়ে আরেক ফ্যাসিস্টের জন্ম দেওয়া যাবে না। চাঁদাবাজি, দখলদারি ও ভারতের গোলামীর রাজনীতি যারা নতুন করে করতে চায়, তাদের আগামী জাতীয় নির্বাচনে রুখে দিতে হবে।
জাগপা সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন- জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, হাজি মো. হাসমত উল্লাহ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রওশন আলম, সাংঠনিক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, শ্রমিক জাগপার সভাপতি আসাদুজ্জামান বাবুল প্রমুখ।
What's Your Reaction?