শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়, ভারতীয় গণমাধ্যমে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন-বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। এদিকে, হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা কেন্দ্র করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনার ঝড়। বলতে গেলে ভারতের প্রায় প্রতিটি সংবাদমাধ্যম শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে। আসুন দেখে নিই দেশটির উল্লেখযোগ্য সংবাদমাধ্যমগুলোর শিরোনাম: পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকা শিরোনাম করেছে- মামলা রুজু থেকে রায়দান, নিজের তৈরি ট্রাইবুনালেই ৩৯৭ দিন ধরে বিচার হল হাসিনার! কারা, কী সাক্ষ্য দিলেন? আরেকটি প্রতিবেদনের শিরোনামে পত্রিকাটি লেখে, ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত হাসিনাকে কি বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতেই হবে ভারতকে? কী বলছে আইন, কী কী রয়েছে দু’দেশের চুক্তিতে এনডিটিভি শিরোনাম করেছে- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড,

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়, ভারতীয় গণমাধ্যমে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন-বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এদিকে, হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা কেন্দ্র করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনার ঝড়। বলতে গেলে ভারতের প্রায় প্রতিটি সংবাদমাধ্যম শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে। আসুন দেখে নিই দেশটির উল্লেখযোগ্য সংবাদমাধ্যমগুলোর শিরোনাম:

পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকা শিরোনাম করেছে- মামলা রুজু থেকে রায়দান, নিজের তৈরি ট্রাইবুনালেই ৩৯৭ দিন ধরে বিচার হল হাসিনার! কারা, কী সাক্ষ্য দিলেন?

আরেকটি প্রতিবেদনের শিরোনামে পত্রিকাটি লেখে, ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত হাসিনাকে কি বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতেই হবে ভারতকে? কী বলছে আইন, কী কী রয়েছে দু’দেশের চুক্তিতে

এনডিটিভি শিরোনাম করেছে- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড, ঢাকার আদালত মানবতাবিরোধী অপরাধের কথা উল্লেখ করেছে। তাদের আরেকটি শিরোনামে বলা হয়- গণহত্যার মুখে বেঁচে যাওয়া থেকে মৃত্যুদণ্ড, শেখ হাসিনার ৫০ বছরের যাত্রা।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তিনটি পৃখক শিরোনামে লিখেছে, হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার সাথে সাথে আদালতে উল্লাসধ্বনি শুরু হয়েছে। হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঐতিহাসিক রায়: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

ইন্ডিয়া টুডে লেখে, রায়কে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেছেন শেখ হাসিনা। তাদের প্রতিবেদনে উদ্ধৃত করা হয়েছে হাসিনার অভিযোগ, বিচার প্রক্রিয়া পক্ষপাতদুষ্ট ছিল ও তাকে ন্যায্যভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি।

হিন্দুস্তান টাইমসও একই সুরে জানায়, হাসিনা এই রায়কে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন। তারা উল্লেখ করেছে, হাসিনা অভিযোগ করেছেন, তিনি আদালতে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ পাননি।

টাইমস অব ইন্ডিয়া আরও কঠোর ভাষায় হাসিনার মন্তব্য তুলে ধরে লিখেছে- রায় ঘোষণা করেছে ‘কারচুপির মাধ্যমে গঠিত ট্রাইবুনাল’, যা একটি অনির্বাচিত সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসিনার মতে, এই রায় আগেই ঠিক করা ছিল।

অন্যদিকে, দ্য হিন্দু লেখে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘গণহত্যার’ দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে। ভারতের অন্যতম এই জাতীয় দৈনিক জানায়, রায় ঘোষণার পর বাংলাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

দ্য ওয়্যার তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, প্রতিবাদ-দমনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের দায়ে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বাংলাদেশের আদালত।

সংবাদ প্রতিদিন শিরোনাম করেছে- বদলের বাংলাদেশে বদলা! মৃত্যুদণ্ড হাসিনার, ফাঁসির সাজা প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানকে

এসএএইচ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow