শেখ হাসিনার ভাষণ গণমাধ্যমে প্রচারিত হলেই বুঝতে হবে তারা হাসিনাকে সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যালয়ে এক জনমত কর্মসূচি চালু প্রসঙ্গে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, হাসিনার ভাষণ যদি কোনো মিডিয়ায় প্রচার করা হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, মিডিয়া হাসিনাকে এখনো সহযোগিতা করছে। জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। সুশীলতাকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলেই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। হাসিনার প্রশ্নে কোনো সুশীলতা নয়।
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ চ্যাপ্টার ক্লোজড। তারা যদি প্রাসঙ্গিক থাকতই, তাহলে ৫ আগস্ট পালায়ে যাইতে হইত না।’
গণমাধ্যমের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘মিডিয়ায় এখনো দেখি ভাশুরের নাম মুখে নিতে কেমন যেন লাগে। এখনো সাবেক প্রধানমন্ত্রী লেখা হয়। উনি কী সাবেক, নাকি ফ্যাসিবাদের ‘বুচার অব দিস মাদারল্যান্ড’? তিনি এই বাংলাদেশের বুচার (কসাই)। তিনি চেয়ার টিকিয়ে রাখতে দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন। কেন মিডিয়াতে ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনা লেখা হয় না? ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনা যদি না লেখেন বা না বলেন, আপনারা আওয়ামী কাঠামো বা মিডিয়া রয়েছে, সেটির সিলসিলা অব্যাহত রাখছেন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই নেতা বলেন, ‘আমরা হাসিনা চ্যাপ্টার, ছাত্রলীগ চ্যাপ্টার ৫ আগস্ট ক্লোজ করে দিয়েছি। ৫ আগস্টের পর ফ্যাসিবাদবিরোধী যে দলগুলো আছে, তাদের সঙ্গে আমাদের মতের পার্থক্য হবে, রাজনৈতিক মতপার্থক্য হবে, বিভাজন থাকবে। কিন্তু এক জায়গায় স্পষ্ট, হাসিনা ও ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন কোনোভাবে এ দেশে হতে দেওয়া হবে না।’
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারসংক্রান্ত একটি পোস্ট দেওয়া হয়। তাতে লেখা হয়েছে, ‘খুনি, গণহত্যাকারী, ফ্যাসিস্ট হাসিনার কোনো বক্তব্য যদি মিডিয়াতে প্রচার করা হয়, সেটার পরিণতি সেই মিডিয়াকেই নিতে হবে।’