শেরপুরের নকলায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত আশিক মিয়া নামে এক যুবকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পরে পুলিশ প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবিতে নকলা থানা ঘেরাও করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। নকলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাশেম আশিককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় পাশের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় ওই ছাত্রী। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে বের হয়। পরে বাড়ির পাশে ভুট্টা খেতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় ওই ছাত্রীকে। ওই সময় সেখান থেকে পালিয়ে যায় আশিকসহ ওই চারজন। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, বখাটে যুবকরা ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে পাশের ভুট্টা খেতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে।
কিশোরীকে উদ্ধার করে প্রথমে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আব্দুল করিম কালবেলাকে বলেন, এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে নকলা থানায় একটি মামলা করেছেন। প্রধান আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া ওই শিশু ও তার পরিবারকে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দিতে কাজ করছে পুলিশ।