রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। বাংলাদেশকে শেষ সেশনে কিছুটা বিপদে ফেলাই ছিল উদ্দেশ্য। তবে জাকির হাসান আর সাদমান ইসলাম কোনো ধরনের ঝুঁকি নেননি।
শেষ বিকেলে ১২ ওভার কাটিয়ে দিয়েছেন তারা। বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বিনা উইকেটে ২৭ রানে। সাদমান ১২ আর জাকির ১১ রানে অপরাজিত আছেন।
পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ানের ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল। কিন্তু তাকে অপরাজিত ১৭১ রানে রেখেই দলীয় ইনিংসের ইতি টানেন অধিনায়ক শান মাসুদ। ২৩৯ বলের ইনিংসে ১১টি চার আর ৩টি ছক্কা হাঁকান রিজওয়ান। সঙ্গে ২৪ বলে ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
এর আগে কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। সৌদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের জুটিতে চাপ বাড়ছিল বাংলাদেশের উপর। সেঞ্চুরির পর ডাবল সেঞ্চুরিও পার করে ফেলে এই জুটি। অবশেষে রাওয়ালপিন্ডির পিচে আঠার লেগে থাকা ২৪০ রানের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
৯৫তম ওভারে মেহেদীর শর্ট লেন্থে করা শেষ বলে কিছুটা সামনে এগিয়ে এসে কভার অঞ্চলে খেলতে চেয়েছিলেন শাকিল। কিন্তু তাতে পুরোপুরি পরাস্ত হয়েছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটার। বল গ্লাভসে জমা করে দ্রুতগতিতে স্টাম্পড করেন লিটন দাস।
রিভিউতে দেখা যায়, পিচলাইনের উপর কোনোমতে শাকিলের পা স্পর্শ করে আছে। বহু বিবেচনার পর অবশেষে আউটের সিদ্ধান্ত জানান তৃতীয় আম্পায়ার। দলীয় ৩৫৪ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেটের পতন হয় পাকিস্তানের।
২৫ ওভার হাত ঘুরানোর পর অবশেষে উইকেটের দেখা পান সাকিব আল হাসানও। চারশর আগে ষষ্ঠ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
সাকিবের টার্নের বিপক্ষে সামনে খেলতে গিয়ে ব্যাটে আলতো ছোঁয়ায় পেছনে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মেহেদী হাসান মিরাজের সহজ ক্যাচ হন আঘা সালমান। ৩৬ বলে ১৯ রান করে ফেরেন তিনি।
শাকিল ও রিজওয়ান আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন। এর আগে প্রথম দিনে ৪ উইকেটে ১৫৮ রান করেছিল পাকিস্তান। ফিফটি করে আউট হয়েছেন সাইম আইয়ুব (৫৬)।
ভেজা পিচে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। পিচের সুবিধা কাজে লাগিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেন বাংলাদেশের পেসাররা। ১৬ রানের মধ্যে তারা তুলে নেন ৩টি উইকেট। যদিও পরে এই চাপ ধরে রাখা যায়নি।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই আঘাত হানেন টাইগার পেসার হাসান মাহমুদ। মাত্র ২ রান করে গালিতে জাকির হাসানের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হন আবদুল্লাহ শফিক। ৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এরপর জোড়া শিকার করেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। পাকিস্তান অধিনায়ককে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়েছেন তিনি। ১১ বলে ৬ রান করতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন শান মাসুদ।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে বাবর আজমকে সাজঘরের পথ দেখান শরিফুল। ২ বল খেললেও কোনো রান করতে পারেননি পাকিস্তানের সেরা ব্যাটার। উইকেটরক্ষক লিটনের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ আর শরিফুল ইসলাম। সাকিব আল হাসান এবং মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার একটি করে উইকেট।
এমএমআর/এএসএম