ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে তার নয়াদিল্লির বাসভবনে পৌঁছান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নড্ডাও মনমোহনের বাড়িতে পৌঁছান। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মরদেহ প্রণাম করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তারা। রাজনৈতিক দূরত্ব ভুলে শুক্রবার সকাল থেকে ওই বাড়িতে একে একে জড়ো হন শাসক ও বিরোধী দলের নেতারা।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য হবে শনিবার।
মনমোহনকে শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার সকালে তার বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এ ছাড়াও অনেক বিজেপি নেতা তার বাড়িতে যান।
মনমোহনের কনিষ্ঠা কন্যা ক্যালিফোর্নিয়ায় স্ট্যানফোর্ড ল’ স্কুলের অধ্যাপক। সেখান থেকে তিনি শুক্রবার বিকেলে দেশে ফিরবেন। সেই কারণেই শেষকৃত্য হবে শনিবার। শেষকৃত্যের পর মনমোহনের অস্থি নিয়ে যাওয়া হবে কংগ্রেসের সদর দফতরে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে সাত দিন জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জি পার্থসারথি দেশের সকল মুখ্যসচিব ও অন্য উচ্চপদস্থ আমলাদের এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে মনমোহনকে শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে বুধবার (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত দেশে ‘জাতীয় শোক’ চলবে। ‘জাতীয় শোক’ ঘোষণা হওয়ার অর্থ, এই সময় দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং সরকারি স্তরে কোনো বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান হবে না।
৯২ বছর বয়সী মনমোহনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল বৃহস্পতিবার। তাকে রাত ৮টা নাগাদ দিল্লি এমসের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন তিনি।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
এমএসএম