শেয়ারবাজারে ১০-এ দশ ‘জেড’

3 weeks ago 13

গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেইসঙ্গে বড় অঙ্কে বেড়েছে বাজার মূলধন। এমন বাজারেও কিছু প্রতিষ্ঠান উল্টোপথে হেঁটেছে। দাম বাড়ার বদলে এসব প্রতিষ্ঠানের দাম সপ্তাহজুড়ে কমেছে। দাম কমার তালিকায় আধিপত্য দেখিয়েছে ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৬৮টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৫টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম কমার তুলনায় দাম বাড়ার তালিকায় আড়াইগুণ বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এমন বাজারে ডিএসইতে দাম কমার শীর্ষ ১০টি স্থানেই দখল করেছে জেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৮টি অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং একটি ব্যাংক রয়েছে।

এ দাম কমার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে ফ্যাস ফাইন্যান্স। বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী হননি। এতে ডিএসইতে দাম কমার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৮০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১১ কোটি ৯২ লাখ ৬১ হাজার টাকা।

এই কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। এরপর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের আরও কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। লভ্যাংশ দিতে না পারায় কোম্পানিটির স্থান হয়েছে পচা জেড গ্রুপে। সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ৯ টাকা ৭৮ পয়সা।

২০০৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৪০ কোটি ৭ লাখ টাকা। আর শেয়ারসংখ্যা ১৪ কোটি ৯০ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬৪টি। এর মধ্যে ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ শেয়ার আছে।

ফ্যাস ফাইন্যান্সের পরেই গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় ছিল ফারইস্ট ফাইন্যান্স। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৩১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। ২০১৬ সালের পর এই কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ২৮ শতাংশ দাম কামার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে প্রিমিয়ার লিজিং। ২০১৮ সালের পর এই কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দেয়নি।

এছাড়া গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্সের ২১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সের ২৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, পিপলস লিজিংয়ের ২১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, জিএসপি ইস্পাতের ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ১৪ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের ১৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ দাম কমেছে। এই কোম্পানিগুলোও জেড গ্রুপে রয়েছে।

এমএএস/এমএএইচ/জেআইএম

Read Entire Article