শ্রমিক বিক্ষোভে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) অচলাবস্থায় পড়েছে ইতালি।
এ দিন বেশ কয়েকটি শ্রমিক ইউনিয়নের দেশব্যাপী ডাকা ধর্মঘটে স্থবির হয়ে পড়ে দেশটি। সরকারের বাজেট পরিকল্পনার পরিবর্তনসহ বিভিন্ন দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
আনাদোলু এজেন্সি ও রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন সারা দেশে বিক্ষোভ করেন। এতে সড়ক-মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। কোথাও কোথাও আন্দোলনকারীরা গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
বাধ্য হয়ে এ দিন সারা দেশে বাস এবং পাতাল রেল চার ঘণ্টার জন্য স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া বিমান সংস্থাগুলো ১০ হাজার অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করে।
শ্রমিকরা স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় তাদের আট ঘণ্টা ধর্মঘট শুরু করেন। সরকারের বাজেট পরিকল্পনার পরিবর্তন এবং মূল অর্থনৈতিক খাতে তহবিল বৃদ্ধির দাবিতে তারা এ আন্দোলন করছেন।
ইতালির বৃহত্তম শ্রমিক ইউনিয়নগুলো দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের আয়োজন করে। এতে অর্থনীতির প্রায় প্রতিটি সেক্টর থেকে শ্রমিকরা যোগ দেন। রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে আন্দোলনকারীদের বরাতে বলা হয়েছে, ধর্মঘটে ৭০ শতাংশ শ্রমিক অংশ নিয়েছেন। সারা দেশে ৪৩টির বেশি পৃথক বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। সেখানে শ্রমিক ছাড়াও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
ইতালির বৃহত্তম ইউনিয়ন সিজিআইএল-এর প্রধান মাউরিজিও ল্যান্ডিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এই দেশটিকে সম্পূর্ণভাবে ঘুরিয়ে দিতে চাই। এটি করতে আমাদের কর্মসূচিতে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন। আমাদের জন্য সামাজিক বিদ্রোহের অর্থ হলো- আমরা অন্যায়কে উপেক্ষা করতে পারিনি।
ইতালীয় সংবাদমাধ্যম দেশটির উত্তরের শহর তুরিনে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কোথাও কোথাও সংঘর্ষের খবর দিয়েছে। সেখানে ছাত্র ও শ্রমিকদের একটি দল শহরের প্রধান ট্রেন স্টেশনগুলোর রেলপথ দখল করেছিল। এ নিয়ে ওই সংঘর্ষ বাধে।