জিম্বাবুয়ের জন্য এটি ছিল বাঁচামরার লড়াই। এমন ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে নাকাল করেই ছাড়লো সিকান্দার রাজার দল। লঙ্কানদের মাত্র ৮০ রানে গুটিয়ে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিলো স্বাগতিকরা। এই জয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
মাত্র ৮১ রানের লক্ষ্য ১৪.২ ওভারে পেরিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। যদিও রান তাড়ায় নেমে তারাও বিপদে পড়েছিল। ২৭ রানে হারিয়ে বসেছিল ৩ উইকেট।
তাদিওয়ানাশে মারুমানি ১২ বলে ১৭ রান তুলে দিয়ে যান। এরপর শন উইলিয়ামস ০ আর সিকান্দার রাজা ফেরেন ২ রানে। দুজনই হন দুশমন্ত চামিরার বলে বোল্ড।
ধরে খেলা ব্রায়ান বেনেট ২৩ বলে ১৯ করে সাজঘরে ফেরেন। টনি মুয়োঙ্গা করেন ৩। তবে রায়ান বার্ল আর তাশিঙ্গা মুসেকিউয়া দেখেশুনে খেলে জয় এনে দেন দলকে। বার্ল ২২ বলে ২০ আর তাশিঙ্গা ১৪ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহের রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে শ্রীলঙ্কা। হারারেতে ১৭.৪ ওভারে তাদের মাত্র ৮০ রানে গুটিয়ে দেয় জিম্বাবুয়ে।
২০২৪ সালের জুনে নিউইয়র্কে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৭ রানে অলআউট হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। যেটি এখন পর্যন্ত তাদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই জিম্বাবুইয়ান বোলারদের তোপের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ২৪ রানে তারা হারিয়ে বসে তিন টপঅর্ডার কুশল মেন্ডিস (১), পাথুম নিশাঙ্কা (৮) আর নুয়ানিদু ফার্নান্ডোকে (১)। বল সমান ২০ করে আউট হন কামিল মিশরা।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩৭ রান তোলে ৪ উইকেট হারিয়ে। কামিন্দু মেন্ডিস ০ আর দাসুন শানাকা ২১ বল খেলে করেন ১৫ রান। অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কার ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ১৮।
জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা মাত্র ১১ রানে ৩টি আর ব্র্যাড ইভান্স ১৫ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট। ১৪ রানে ২ উইকেট নেন ব্লেসিং মুজারাবানি।
এমএমআর/জেআইএম