বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, অন্তর্বতীকালীন সরকারের কমিটমেন্ট ছিল বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। তবে সংস্কারের উসিলা দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তাই সর্বপ্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সংস্কার করা।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা, টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গত ১৭ বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ব্যাংক লুটেরা শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার বানিয়েছে। আমাদের নজরে আসছে, দেশে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ছোটখাটো বিষয়ে দাবি আদায়ে মানুষ রাস্তায় নামছে। অনেকে মনে করছে অন্তর্বতী সরকার দুর্বল। ফলে শেখ হাসিনা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করতে সাহস পাচ্ছে। ভারত তাতে উসকানি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রতি মানুষের যেমন প্রত্যাশা আছে, ঠিক তেমনি তাদেরও কমিটমেন্ট আছে সংস্কার করার। অতি দ্রুত এটি করতে হবে। কোনো একক সরকারের পক্ষে দিন তারিখ ঠিক করে সংস্কার করা সম্ভব নয়। আপনারা শুরু করেন, পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত সরকার তা এগিয়ে নেবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সবাই মিলে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এদেশের মানুষ সব করতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশের আধিপত্য বিস্তারের যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দিতে পারবো।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের আহ্বায়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন। আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির (জাকপা) চেয়ারম্যান এস এম শাহাদাত হোসেন, জাকপার সভাপতি খন্দকার লুতফর রহমান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের কমরেড নূর ইসলাম এবং আরও অনেকে।
এসআরএস/এসএনআর/এএসএম